বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু আজ দেশে নানা রকম ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে এক মহল। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগর আম্রকাননের শেখ হাসিনা মঞ্চে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে কথাগুলো বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলের সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ এ কথা বলেন। জনসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহ উদ্দীন নাসিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অথিতি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। জনসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের সঞ্জালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য পারভিন জামান কল্পনা,এডভোকেট আমিনুল ইসলাম মিলন এমপি, গোলোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপি, আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শ্রী নির্মল চ্যাটাজী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন। প্রধান অতিথি আরো বলেন সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তাই ষড়যন্ত্রকারীরা আবারো জেগে উঠেছে। এখন থেকে আমরা টের পাচ্ছি আগামী নির্বাচনেকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। একদম তৃনমূল থেকে মন্ত্রীপরিষদ পর্যন্ত এক্য বদ্ধ হয়ে এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। সকলকে শেখ হাসিনার ছায়া তলে আসতে হবে। আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের প্রতি আমার অনুরোধ, তৃনমূল থেকে মন্ত্রী পরিষদ পর্যন্ত সকলেই এক্যবদ্ধ থাকেন। ষড়যন্ত্রকারীদের চিহিৃত করেন।
তিনি আরও বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এখন প্রতিটি এলাকায় একাধিক যোগ্য নেতৃত্ব আছে। কোন এলাকায় ৫ জনও মনোনয়নের দাবিদার হতে পারে, এটা দোষের কিছু না। তবে শেখ হাসিনা যাকে মনে করবে, যাকে দিয়ে নৌকার বিজয় হবে তাকেই মনোনয়ন দিবেন। এক্ষেত্রে সব বিভেদ ভুলে একসাথে নৌকার বিজয়ের লক্ষে কাজ করতে হবে। একজন দশ বছর ক্ষমতায় আছে বলে সে আবারও থাকবে এমন কোন কথা নেই। নেতৃত্বের পরিবর্তন হতে পারে। যারা জনগনের পাশে থাকে , করোনার সময় মানুষদের সাহায্য করেছে, একেবারেই সাধারণ জনগনের সাথে মিশতে পারে তাদের তারাই মনোনয়ন পাবার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে। জনসভার সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহ উদ্দীন নাসিম বলেন, একশ্রেনীর বাংলাদেশি আছে যারা মজিবনগর দিসবকে মানে না। তারা পালনও করে না। অথচ এটিই আমাদের মুক্তিযদ্ধের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর আগে সকাল ৬ টায় স্থানীয় প্রশাসনের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে মুজিবনগর দিবসের সুচনা হয়। পরে সকাল ৯ টায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক গার্ড অব অনার গ্রহন করেন ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শণ করেন। পরে জেলা প্রশাসিকের স্বাগত বক্তব্যের পর “জল, মাটি ও মানুষ” নামের একটি গীতিনাটক অনুষ্ঠিত হয়।