কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে হিসনা নদীর ৮ কিলোমিটার তলদেশ খনন করেছে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয় সংসদ সদস্য আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ এমপি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হিসনা নদীর পানির প্রবাহ ফিরেছে। খনন কাজের সময় হিসনা নদীর তলদেশের মাটি স্তুপ আকারে কৃষকের আবাদি জমির উপরে ফেলা হয়। ফলে কৃষক চাষাবাদে বাঁধাগ্রস্ত হয়। ৬৪ জেলায় নদী খনন প্রকল্পের এই মাটি কৃষকের জমি থেকে অপসারণ এবং কৃষিকাজে স্বাভাবিক গতি অব্যাহত রাখতে পানি উন্নয়ন বোর্ড টেন্ডারের মাধ্যমে মাটি অপসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে সর্বোচ্চ দরদাতাকে টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা প্রদান করা হয়।
স্থানীয়ভাবে মাটি লুটপাটের মহোৎসব বন্ধ হয় এবং টেন্ডারের মাধ্যমে মাটি বিক্রি করায় সরকার মোটা অংকের রাজস্ব লাভ করে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে হিসনা নদীর মাটির স্তুপ কৃষি জমি থেকে সরানো হচ্ছে এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তারা বলছেন ফসলি জমির উপর স্তূপ আকারে মাটি কৃষি কাজে মারাত্মক বাঁধা সৃষ্টি করেছিলো। এই মাটির স্তুপ সরিয়ে নেওয়াতে আমরা আবার আগের মতো কৃষি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি। এদিকে অবৈধভাবে মাটির লুটেরা চক্র কৃষকের জমি থেকে মাটির স্তুপ সরানোর বিরোধীতা করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। এলাকার কতিপয় চিহ্নিত আগুন সন্ত্রাসী এই মাটি অপসরণে বাঁধা সৃষ্টি করছে তাদের কোন জমি এই নদীর পাড়ে নেই। তাদের জমিতে কোন মাটির স্তূপ না থাকায় এর যন্ত্রণা বুঝবে কি করে কষ্টের সাথে একথা জানালেন কৃষক ফজল আলী। কৃষক জমির বলেন, আমাদের ফসলী মাঠ থেকে মাটির স্তুপ সরে যাওয়ায় মনে হচ্ছে বুকের উপর থেকে পাথর সরে যাচ্ছে। অথচ ২/১ জন দালাল যারা ধান্দা করে চলে তারা আমাদের এর বিরোধীতা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। আমরা বলেছি, নিজের ভালো পাগলও বুঝে। আমার চাষের জমি মাটির স্তুপ থেকে মুক্ত হচ্ছে, এতে আমাদের যে কি উপকার হচ্ছে তা বলে বুঝাতে পারবো না।
ভুক্তভোগী কৃষকরা মাটির স্তূপ সরানোর জন্য দাবি করে আসছিল। তাদের সেই দাবি পূরণ হওয়ায় তারা আনন্দ প্রকাশ করেছে এবং যারা মাটির স্তুপ সড়ানোর বাঁধা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
দুষ্কৃতকারীরা এলাকার চুরি ডাকাতির সাথেও জড়িত। ওরাই মাটি কাটা মেশিনে আগুন দিয়ে আমাদের কপাল পুড়াতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমরা খুশী হয়েছি আবার মাটির স্তুপ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। এই সকল দুষ্কৃতকারী, সমাজবিরোধীদের গ্রেফতার দাবী করেছে গ্রামবাসী।