গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই দালালের উৎপাতে অতিষ্ট এলাকাবাসী। গতকাল রবিবার দুপুরে শ্রীপুর থানায় অবস্থান নেয় এলাকাবাসী। অভিযুক্তরা হলো শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে মোঃ কবির হোসেন ও একই এলাকার জমশেদ বেপারীর মেয়ের জামাতা মো.আক্কাছ। অভিযুক্তরা এলাকায় কখনো সাংবাদিক কখনো মানবাধিকার কর্মী কখনো পুলিশের সোর্ষ হিসেবে এলাকায় পরিচয় দিয়ে থাকে। এবিষয়ে শতাধিক গ্রামবাসী গণ সাক্ষর দিয়ে রবিবার দুপুরে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে জানা যায়, ওই দুই ব্যক্তি এলাকায় পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত। অভিযুক্তদের চক্রান্তের জালে হয়রানির শিকার হচ্ছেন এলাকার নিরিহ নারী পুরুষ। এদের মধ্যে রয়েছেন ওই এলাকার ভাই ভাই হেল্থ কেয়ারের মালিক,স্থানীয় রফিকুল ইসলাম সবুজ ,আবুল কালাম,রিয়াজ উদ্দিন,রোপ চাঁন , মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম,রহমত আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম,সুমন, সহ নারীপুরুষ। ভূক্তভোগীরা জানায়, কবির ও আক্কাছ এলাকার চিহ্নিত দালাল,কথিত সাংবাদিক,পুলিশের সোর্স। এরা স্থানীয় এলাকাবাসীদের সহজে ফুসলিয়ে বিভিন্ন অভিযোগে জরিয়ে হয়রনি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। পুলিশের সাথে তাদের রয়েছে সখ্যতা। ভয়ে কেউ তাদেরর অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। অভিযুক্তদের হয়রানি ও নির্যাতনের কারণে এলাকবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে কবির হোসেন সোঠুফোনে জানান, আমি এলাকায় সাংবাদিকতা করি। স্থানীয় ভাবে কোন দেনদরবার হলে মাতাব্বরগন আমাকে ডাকেন। এটাকি অপরাধ। আমি কাওকে কোন ভাবে হয়রানি করিনা। আমাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ দিয়েছে তা মিথ্যা। অভিযুক্ত আক্কাছ মুঠুফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। স্থানীয় সমস্যাগ্রস্থ মানুষকে সহায়তা করায় কিছু লোক আমর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমাকে হয়রানি করতেই অভিযোগ দিয়েছে। গ্রামবাসীরা শ্রীপুর থানায় অবস্থান নিয়ে দুই দালালের বিচার দাবী করেন। কালিয়াকৈর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন ও শ্রীপুর থানার পরিদর্শক এএফএম নাসিম গ্রামবাসীদের বক্তব্য শুনে অভিযুক্তদের বিচারের আশ্বাস দেন।