গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বোরো মৌসুমে ব্রি-২৮ ধান ক্ষেত ছত্রাকনাশক ব্লাস্টে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় চাষিরা মাথায় হাত দিয়ে বসেছে। চিকন এবং আগাম জাত হওযায় অনেক কৃষক ব্রি-২৮ ধান চাষাবাদ করে আসছে দীর্ঘদিন হতে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বোর মৌসুমে অনেক কৃষক অল্প স্বল্প জমিতে ব্রি-২৮ জাত ধান চাষ করেছে। ঠিক ধান কাটামাড়াইয়ের আগ মহুত্বে ব্লাটস আক্রান্ত হওয়ায় চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার পনেরটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৬ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে। ফলনও মোটামুটি ভাল হয়েছে। বিশেষ করে নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলে বিভিন্ন জাতের ধানের ফলন অত্যন্ত ভাল হয়েছে। তবে ব্রি -২৮ জাত ধান অনেক পুরাতন হওয়ায় নানাবিধ রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলার ধুমাইটারী গ্রামের কৃষক বাবু মিয়া জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ জাত ধান চাষ করেছে। আগামি কুড়ি দিনের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তোলার কথা ছিল তার। কিন্তু বিধিবাম ছত্রাকনাশক ব্লাস্টে আক্রান্ত হয়ে গোটাধান ক্ষেত পুড়ে যাওয়ার মত হয়েছে। অনেক আশা নিয়ে আগাম এবং চিকন জাতের ধান চাষাবাদ করে সকল কৃষকের আগে ধান কাটামাড়াইয়ের স্বপ্ন দেখেছিল ওই কৃষক। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জনের পরামর্শ নিয়ে কীটনাশক ছিটিয়ে কোন কাজ হয়নি। দেড় বিঘা জমি চাষাবাদে তার প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কৃষক মোনারুল ইসলাম জানান, তারও একবিঘা জমির ব্রি-২৮ জাতের ধানের একই অবস্থা হয়েছে। তিনিও বেশ কয়েকবার কীটনাশক ছিটিয়ে কোন লাভ হয়নি। সেও অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলার দহবন্দ ব্লকের উপ-সহকারি জানান, ব্রি-২৮ জাতের ধান ছাড়া অন্যান্য জাতের ধানের ফলন অনেক ভাল হয়েছে। চলতি মৌসুমে হাতে গোনা কয়েকজন কৃষক ব্রি-২৮ জাত ধান চাষাবাদ করেছে। কৃষকগণ সঠিক পরামর্শ না নেয়ায় ছত্রাকনাশক ব্লাস্ট আক্রান্ত হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে খুব বেশি ক্ষতি হবে না। উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, ব্রি-২৮ জাত ধান অনেক পুরাতন। সে কারণে ব্রি-২৮ জাত ধানক্ষেতে নানাবিধ রোগ বালাই লেগেই থাকে। কৃষকদের ব্রি-২৮ জাত ধান চাষাবাদে নিরুসাহী করা হচ্ছে। তারপরও অনেক কৃষক চাষাবাদ করে থাকেন। তবে এর পরিমান অনেক কম। উপ-সহকারি কৃষি অফিসারদের এ ব্যাপারে সর্তক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।