কুষ্টিয়া সুদখোর রবিনের অত্যাচারে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট ! ১ লক্ষ টাকায় প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা লাভ দিতে হয় রবিনকে। কুষ্টিয়া শহরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে টার্গেট করে এ কার্যক্রম করে থাকে। প্রয়োজন ও আরএসএম নামে এনজিও খুলে সুদের ব্যবসা করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে ১ লক্ষ টাকায় প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকার লভ্যাংশ দিতে হয় রবিনকে । যার কোন বৈধ অনুমোদন নাই। প্রথমে তার এনজিও-র সদস্য বইয়ের মাধ্যমে সঞ্চয় সংগ্রহ করে। পরে দিনকাল ঠিক করে ঋণ দেওয়ার সময় তারা যে পলিসি ব্যবহার করে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ব্যাংক একাউন্টের চেক স্ট্যাম্পের মাধ্যমে লিখিতভাবে এই অবৈধ কার্যক্রম করে থাকে। টাকা দিতে দেরি হলে ভয়-ভীতি দেখানো হয়। তা না হলে তার টর্চার ছেলে তুলে নিয়ে যেয়ে মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে গত ০৮ এপ্রিল ২৩
কুষ্টিয়া শহরের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী আসাদুল্লাহ আল গালিব ওরফে লিংকনের বাসায় বেলা ১২.৩০ এর সময় তার বাসায় হুমকি দিয়ে যায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে। তারপরে সাড়ে তিনটার সময় পুলিশ লাইনের পিছনে রেনিক মোড় হইতে থানাপাড়া ক্রিসেন্ট ক্লাবের সামনে বিল্ডিং এ নিয়ে যাই রবিনের গুন্ডা বাহিনী তারপরে শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন ব্যবসায়ী লিংকনের উপর। লিংকনকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মারধর করে সে কোন রকম জানে বেঁচে যায়। তাকে তার এক ভাই উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তার চোখ গুরুতর আহত হয়, নাকের শিরা ফেটে যায়। সে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সে গত তিন মাস আগে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা তার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিল প্রতি মাসে ২২ হাজার টাকা ইন্টারেস্ট দিতে হয়। তার অফিসের স্টাফ দ্বারা ও সে নিজেও উপস্থিত থেকে মারধর করে লিংকনকে । রবিনের দাবি আমাকে ৪০ লক্ষ টাকা দিতে হবে অথচ এই টাকার সাথে কোন সম্পৃক্ততাই লিংকনের নেই। মিথ্যা বিষয়কে স্ট্যাবলিশ করার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে সুদ ব্যবসায়ী রবিন। এদিকে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন লিংকন ভাইয়ের সাথে যে অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছে তা সত্যিই অনেক নিষ্ঠুরতা। আগামীতে আমাদের সাথে যে করবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে। এই ঋণ নেওয়াতে লিংকন নিঃস্ব ও সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। সাধারণ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন রবিনের এই সুদ ব্যবসার লাগাম এখনই যদি টেনে না ধরা হয় তাহলে সামনে আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে নিঃস্ব হতে পারে অসংখ্য উদ্যোক্তা । ঝরে যেতে পারে প্রাণ কারণ তাদের কোন দয়ামায়া নেই । সেই সাথে তাদের এই কার্যক্রমের কোন বৈধতা নেই। তাই প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব ওরফে লিংকন। এ বিষয়ে সুদ ব্যবসায়ী রবিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি কাউকে মারিনি সে মোটরসাইকেলে এক্সিডেন্ট করেছে। অবৈধভাবে সুদের কার্যক্রম কতদিন ধরে চালাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাব তিনি সৎ উত্তর দিতে পারেননি। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ শাহাদাত হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।