দেশের সর্ববৃহৎ সিটি কর্পোরেশন গাজীপুরে আসন্ন নির্বাচন কে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নজর কেড়েছে দেশবাসীর। চারপাশে বইছে নির্বাচনী হওয়া। নির্বাচন কে সামনে রখে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থীরা। সর্ব মহলে এখন চর্চা হ”েছ কে হতে চলেছেন তৃতীয়বারের মতো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র? নগরবাসী বলছেন, শোষণ শাসনের নগর পিতা চান না তারা, চায় নগরবাসীর কাছের মানুষ। যে নগরবাসীর সকল নাগরিক সমস্যা দূর করে উন্নত ও আধুনিক নগর উপহার দেওয়ার জন্য করবে ক্লান্ত পরিশ্রম। এক্ষেত্রে গাজীপুরের সকল স্তরের মানুষের মুখে বারে বারে উঠে আসছে একটি নাম যাকে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে আখ্যায়িত করেন নগর বাসী। তিনি গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব কামরুল আহসান সরকার রাসেল। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানাগেছে, আগামী ২৫ মে গাজীপুরের ভোট গ্রহন করবে ইসি। এরপর রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্র¯‘তি শুরু করবে ইসি। এবার সব সিটি কর্পোরেশনের ভোট গ্রহণ হবে ইভিএমে। আসন্ন নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থীতা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মোট ৬ নেতা। এছাড়াও মেয়র পদে জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তবে বিএনপি বা অন্য কোন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রার্থীর নাম এখনো প্রকাশ পায়নি। আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের এই ৬ নেতার মধ্যে নিজ কর্ম দক্ষতায় গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব কামরুল আহাসান সরকার রাসেল ইতিমধ্যে নগর বাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছে। এক্ষেত্রে গাজীপুরের মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব কামরুল আহাসান সরকার রাসেলকে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দেবে কিনা সে নিয়ে গাজীপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক চর্চা। তবে নগরবাসীর প্রথম চাওয়া রাসেল সরকার। ৫০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আজিজুল ইসলাম আজিজ বলেন, আলহাজ্ব কামরুল আহসান সরকার রাসেলের নানামুখী জনসেবা মূলক কর্মকান্ড বিগত দিনে নগরবাসীর নজর কেড়েছে। মেয়র, কাউন্সিলর না হয়েও এই নগরবাসীর পানির সমস্যা, জলাবদ্ধতা, ঘর নির্মাণ, এতিম অসহায় শিশুদের শিক্ষা, আর্থিক অনুদান প্রদান, খাদ্য বিতরণসহ যাবতীয় দায়িত্বভার গ্রহণ ও বিভিন্ন কার্যক্রম এই নগরবাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছে। ৪৯ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর প্রার্থী আমির হামজা বলেন, আমরা দলীয় নেতাকর্মীরাও রিতিমতো রাসেল সরকার ভাইয়ের কার্যক্রম নিয়ে গর্ববোধ করি। রাসেল সরকার কাউন্সিলর, মেয়র না হয়েও জনসাধারণের সুখে, দুঃখে যেভাবে সহযোগী হয়ে পাশে দাঁড়ায় সাধারণ মানুষ উপলব্ধি করতে পারবে উনি মেয়র হলে কি পরিমাণ উন্নয়ন হতে পারে। আগামী নির্বাচনে রাসেল ভাইয়ের বিকল্প নাই। ৫৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আক্তার সরকার বলেন, গাজীপুরের অধিকাংশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দাবি যুব সমাজের আইডল মানবতার সেবক কামরুল আহসান সরকার কে যেনো দেওয়া হয় দলীয় মনোনয়ন। তেমনি আমাদের ও চাওয়া যেন রাসেল সরকার সিটি মেয়র হয়ে নগরবাসীর উন্নয়ন তথা আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করুক। রাসেল সরকার দলীয় মনোনয়ন পেলে নগরবাসী যোগ্যতার ভিত্তিতে অবশ্যই তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে। এছাড়া, যুববন্ধু সোহেল রানা, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী আয়েশা আক্তারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মীরা আশা করছেন, আসন্ন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রাসেল সরকারকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত করা হলে রূপকথার মত বদলে যাবে গাজীপুরের বর্তমান দৃশ্যপট। গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব কামরুল আহসান সরকার রাসেল বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের তত্ত্বাবধানে গাজীপুরের মাটিতে রাজনীতি করে আসছি। আমি নগরপিতা নয়, নগরবাসীর সেবক হয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই। আমি নগরপিতা হয়ে মানুষের সেবা করে বাকি জীবনটা পার করতে চাই। যেন মৃত্যুর পরেও এই নগরবাসী আমাকে মনে রাখে। আমি নামে নয় কর্মের মাধ্যমে গড়ে যেতে চাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।