কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের নির্দেশে ৬টি ইজি বাইক, ১টি পাখি ভ্যান উদ্ধার ও ৬ চোরকে আটক করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ। কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাৎ হোসেন এর নেতৃত্বে দিনরাত এক করে তার সঙ্গেও ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অটো চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের এই অভিযানকে কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছে। এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে খেটে খাওয়া মানুষের কঠোর পরিশ্রমের একমাত্র জীবিকা উপার্জনের মাধ্যম ইজি বাইক ও পাখি ভ্যান তারা চুরি করে পরিবারকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এই চোর চক্রকে অল্প সময়ের ভিতরে গ্রেফতার করার কারণে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে কুষ্টিয়াবাসী। সেই সাথে এই সিন্ডিকেটের সাথে যারা জড়িত আছে তাদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি সাধারণ মানুষের। কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে বেলা ২টাই প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের এই চোর চক্রের বিষয়ে জানান তিনি বলেন আমি কুষ্টিয়াবাসীকে জানাতে চাই আপনারা আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। আপনাদেরকে নিরাপদ ও সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে পারেন সেজন্য আমার পুলিশ সদস্যরা সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা কখনোই কোনো বিষয় ভয় পাবেন না। সরাসরি আমার সহযোগিতা নিবেন আমার দরজা সবসময় আপনাদের জন্য খোলা। আজকের গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন ১। মোঃ জনি হোসেন (২৪), পিতা- মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং- বারখাদা মধ্যপাড়া, থানা ও জেলা- কুষ্টিয়া। পিসি পিআর- মোট ০৪ টি মামলা। মাদক-০২ টি, ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা-০১ টি, অস্ত্র মামলা-০১ টি। মোঃ সবুজ শেখ (২০), পিতা- মৃত খোকন শেখ, সাং- চর মিলপাড়া, থানা ও জেলা- কুষ্টিয়া। রনি আহম্মেদ (১৯), পিতা- আনারুল ইসলাম, সাং- অঞ্জনগাছী, থানা- মিরপুর, জেলা- কুষ্টিয়া। তাজুল ইসলাম (৪০), পিতা- মৃত আজহারুল ইসলাম, সাং- নতুন কমলাপুর করিম বক্স লেন, থানা ও জেলা- কুষ্টিয়া। আমাদের অভিযান সব সময় অব্যাহত থাকবে আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। ইজিবাইক ও পাখি ভ্যানের প্রকৃত মালিক গাড়িটি ফিরে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে। তিনি বলেন আমি আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম আমি যে আমার গাড়িটা আবার ফিরে পাবো তা আমি কখনো বিশ্বাস করতে পারছি না। পুলিশ ভাইদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমি আমার কষ্টে উপার্জিত গাড়িটি ফিরে পেলাম। আমি পুলিশ সুপার ও পুলিশ সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।