পঞ্চগড়ে ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে মাসুদ রানা (৩৮) নামে এক ব্যবসায়ীর ব্যাগে কৌশলে ৯৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ভরে দিয়ে পুলিশে খবর দেয় একটি চক্র। চক্রের দেয়া তথ্যমতে পুলিশ ওই ব্যবসায়ীকে আটকও করেন। পরে বিষয়টি পরিকল্পিত বুঝতে পেরে পুলিশ ওই ব্যবসায়ীকে ছেড়ে গ্রেপ্তার করেন চক্রের দুই সদস্যকে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের ফুলপাড়া এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৫) ও পৌর শহরের রামেরডাঙ্গা এলাকার আছিম উদ্দীন প্রধানের ছেলে তুষার আলম প্রধান (৪০)। রোববার সন্ধায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে সোমবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলা সূত্রে জানে যায়, গত ৮ এপ্রিল রাতে নিজেকে ঠাকুরগাঁওয়ের বীজ ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে মাসুদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন মামুনুর রশিদ। তিনি তার কাছ থেকে উন্নতমানের ঢেঁরশের বীজ কেনার প্রস্তাব দেন মাসুদকে। মাসুদ বীজ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে পরদিন ৯ এপ্রিল ঢেঁরশের বীজের সঙ্গে ৯৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট প্যাকেট করে দেন মামুন। পরে সেই প্যাকেট জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মাসুদের কাছে হস্তান্তর করেন। একইসঙ্গে মামুন তার সহযোগি তুষারের মাধ্যমে ডিবি পুলিশকে তথ্য দেন- ‘মাসুদ একজন মাদক কারবারি, তার কাছে ইয়াবা রয়েছে’। তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মাসুদ এবং ব্যবসায়ী সঙ্গী খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করে জেলা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। পুলিশ জানান, মাসুদ এবং খোরশেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তারা ইয়াবা কারবারি নন, বরং ষড়যন্ত্রের শিকার। তার দেয়া তথ্য এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনে নিশ্চিত করা হয় মামুনুর রশিদ পরিকল্পিতভাবে এটি করেছেন। তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসাকেন্দ্রিক বিরোধ ছিলো মাসুদ রানার। সেই বিরোধের জেরেই ইয়াবা দিয়ে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা আঁটে মামুন। পঞ্চগড় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।