খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কিছু কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেটা ঠিক করে বেশিদিন তাঁকে কাজ করার সুযোগ দেয়নি। ১৯৭৫সালে ১৫আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে নির্মলম ভাবে হত্যার পর একুশটি বছর অনেক সরকার রদ-বদল হয়েছে। কেউ কিছুই করেনি। ১৯৯৬সালে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিকের কাজ শুরু করেছিলেন সেটা ২০০১সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে ২০০৮সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পুনরায় কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে দুর্গম অঞ্চল তথা পার্বত্য অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে সিভিল সার্জন অফিসে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানেও পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলা স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে ৮ম অবস্থানে রয়েছে। এটা কিন্তু সহজ বিষয় নয়। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা উদ্যোগ থাকা দরকার। তাহলে আমরা এসডিজি অর্জন করতে সক্ষম হবো। ২০৪১সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবো। আলোচনা সভার আগে খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হল প্রাঙ্গণ থেকে একটি র্যালি বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। কর্মসূচিতে ইপসা, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম, সনাক-টিআইবি, জাবারাং, তৃনমূল, দি লেপ্রসী মিশন ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশ, গ্রীনহিলের নেতৃবৃন্দ ও জেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরাম, সনাক-ইয়েসের সদস্যবৃন্দ অংশ নেন। আলোচনা সভায খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধাক ডাঃ শহীদ তালুকদার এর সভাপতিত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিনিয়া চাকমা, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি সাধন কুমার চাকমা, জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা প্রমুখ। এসময় আলোচনা সভায় সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মেমং মারমার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মিটন চাকমা। দিবসের প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ক্যচিংহ্লা মারমা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অংপ্রু মারমা, তৃনমূলের নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা, পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তপন বিকাশ ত্রিপুরা, জাবারাং কল্যাণ সমিতির সমন্বয়কারী বিনোদন ত্রিপুরা, ইপসা-সুখী জীবন প্রকল্পের সদর উপজেলার ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর পেহেলী চাকমা।