মেহেরপুরের গাংনী সাহারবাটি আটকবর স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধার পরিবর্তে ইফতারের আয়োজন করে, করা হয়েছে ভুরিভোজ। স্মৃতিসৌধের অবমাননার অভিযোগ তুলে স্থানীয় সুধিজনরা বিচারের দাবি তুললেও আয়োজকদের দাবি বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে দেখলে অবমাননা হয়নি। স্থানীয় সুধিমহলের অভিযোগ গতকাল সন্ধ্যায় গাংনীর সাহারবাটি আটকবর স্মৃতিসৌধের উপর গাংনী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. শফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা গবেষক ও বাংলাএকাডেমীর পদক প্রাপ্ত লেখক রফিকুর রশিদ সহ ১০/১৫ জন মিলে স্মৃতি সৌধের মুল বেদিতে উঠে ইফতার পাটির আয়োজন করে। এতে জাতীর বীর শহীদদের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে। গাংনী প্রাইমারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও গাংনী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজা বলেন এ অনুষ্ঠানে জজ রবিউল ইসলামসহ ওকিল মুক্তিযোদ্ধা গবেষক, বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। যারা উপস্থিত ছিলেন তারা আইন বিষয়ে অনেক জানেন। তাই কোন অবমাননা হতেই পারেনা। তিনি আরো বলেন অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ব্যক্তিগত ভাবে আমি একা নয়। বাংলা একাডেমীর পদক প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা গবেষক রফিকুর রিজভী বলেন, আমরা ওখানে মুল বেদিতে বসে শুধু ইফতার করিনি। তাদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোওয়াও করেছি। বিষয়টি ধরলে অনৈক কিছু না ধরলে কিছুই না। মেহেরপুর সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও মুক্তি যোদ্ধাবিষয়ক লেখক অব্দুল আল আমিন ধুমকেতু বলেন স্মৃতি সৌধ জাতীয় চেতনার জায়গা, সম্মানের জায়গা একে অবমাননা করার কোন সুযোগ নেই। স্মৃতিসৌধের উপর ইফতার করে অবশ্যই তারা জাতীর বীর সন্তানদের অবমাননা করেছে। বিষয়টি তদন্ত হওয়া দরকার। গাংনী উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু বলেন, বিষয়টি জানা ছিলোনা। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।