পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ভেকু ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা ভেকু ব্যবসায়ী মোফাজ্জলকে একটি হোটেলের ভিতর অবরুদ্ধ করে মারধর করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাকে উদ্ধার করতে গেলে মিজান ও রওশনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামে। ৯৯৯এ ফোন করলে পুৃলিশ আহতদের উদ্ধার করেন। আহতরা হলো বরামা গ্রামের ব্যবসায়ী মোফাজ্জল(৫০) মিজান (২৫) ও রওশন(৪০)। অভিযুক্তরা হলো বরামা গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনেররছেলে মো.জহিরুল ইসলাম,আহাম্মদ আলীর ছেলে মো.ফারুক,শফি উদ্দিন মোড়লের ছেলে মো. শাহিন ও আবদুর রশিদের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম। জানাযায়,মোজাম্মেল এসকেভেটর চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। অভিযুক্ত জহিরুল দুদিনের চুক্তিতে এসকেভেটরটি নেন। অন্যত্র জরুরী কাজের জন্য মোজাম্মেল একেভেটর নিয়ে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন জহিরুল। মঙ্গলবার বিকেলে জহিরুল ও তার সহযোগীরা মোজাম্মেলকে ডেকে নিয়ে পাঁচলাখ টাকা চাঁদা দাবি করে । একপর্যায়ে তাকে মারধর করে অবরুদ্ধ করে রাখে। তাকে উদ্ধার করতে গেলে ভাই মিজান ও রৌশন মারধরের শিকার হন। হাসপাতালে যাবার পথে অভিযুক্তরা ফের মিজান ও রওশনকে মারধর করে মুমূর্ষ অবস্থায় পৃথক স্থানে ধানক্ষেতে ফেলে রাখে। ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ তাদের রাতে উদ্ধার করে শ্রীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মোজাম্মেল বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ভূক্তভোগী মোজাম্মেল অভিযোগ করেন, ঘটনার দুদিন পার হলেও থানায় মামলা হয়নি। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ প্রত্যহার করতে। অভিযুক্ত জহিরুল চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের মধ্যে ব্যবসায়ীক বিষয়ে বিরোধ রয়েছে। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক এএসএম নাসিম, বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।