লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতা আবু মুসা ছোটনকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে কালীগঞ্জ থানায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন নিহত ছোটনের মা ছালেহা বেগম। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার শ্রুতিধর জামিরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রলীগ নেতা আবু মুসা ছোটন শ্রুতিধর জামিরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার মৃত আবুল কাসেমের ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চাচাত ভাই জাকির হোসেন পলাশসহ কয়েকজন ছোটনের বাড়িতে গিয়ে তাকে জরুরি আলাপের কথা বলে পার্শ্ববর্তী স্কুল মাঠে নিয়ে যান। তাদের আলাপ আলোচনার একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি শুরু হলে পলাশসহ কয়েকজন ছোটনকে মারধর শুরু করেন এবং এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। পরে ছোটনের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে পলাশকে আটক করে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় আহত ছোটনকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা ছোটনকে মৃত ঘোষণা করে। পরে আটক পলাশকে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা ছোটনের মা ছালেহা বেগম বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জনতার হাতে আটক পলাশকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার (৫ এপ্রিল) ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠায় পুলিশ। লালমনিরহাট পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতের মায়ের দায়ের করা অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে আটক পলাশকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।