ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ৩দিন আটক রেখে ধর্ষনের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মো: আকতারুল ইসলাম (৩১) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁওয়ের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: গোলাম ফারুক এ রায় প্রদান করেন। মামলায় অন্যান্য আসামী অর্থাৎ দন্ডিত আসামীর পিতা আনিসুর রহমান, মাতা মকসেদা বেগম, দাদী মল্লিকা বেগম, সম্পর্কিত দাদা আজাহারুল ইসলাম, চাচা আকতারুল ইসলাম ও ঘরের মালিক আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১নং রুহিয়া ঘনিমহেশপুর গ্রামের আনিসুর রহমান মিলারের ছেলে মো: আকতারুল ইসলাম (৩১) একই এলাকার একজন মুরগী ব্যবসায়ীর কন্যার (২৭) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল মোবাইল ফোনে রুহিয়া ওয়াপদা অফিসের সামনেডেকে নিয়ে আসে। পরে তাকে ফুসলিয়ে উত্তরা বাজার এলাকায় আমিরুল ইসলাম নামে একজন চা বিক্রেতার বাড়িতে ৩ দিন আটকে রেখে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষন করে। ২৪ এপ্রিল ভোরে ধর্ষক আকতারুল ওই মেয়েকে পার্শ্ববর্তী আটোয়ারী উপজেলার কিসমত রেল ঘুন্টি এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাকে দাঁড় করিয়ে রেখে কৌশলে পালিয়ে আসে। বিকেলে ধর্ষিত কিশোরী আকতারুলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবি জানালে তার মা দাদী ও অন্যান্যরা তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় মেয়ের পিতা বাদী হয়ে ১ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)৩০ ধারায় ধর্ষক আকতারুলসহ ৭জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৫ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস, আই মোা: সফিউর রহমান আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন। মামলার এজাহার, পুলিশের চার্জসীট, চিকিৎসকের পরীক্ষা নীরিক্ষার রিপোর্ট ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণে ঘটনার সত্যতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। আসামীকে আদালত হতে জেল হাজতে পাঠানো হয়।