সংস্কারের অভাবে জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে জেলার পানছড়ি উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাত গ্রামের সনাতন ধর্মের অনুসারী তিন সহস্রাধিক মানুষের একমাত্র উপাসনালয় মোগলী মোহন কার্বারী পাড়ার শ্রী শ্রী সার্বজনীন জগন্নাথ মন্দিরটি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ মন্দিরটি ধর্মপ্রাণ এলাকাবাসী কায়িক পরিশ্রমের বিনিময়ে ২০০৩ সালে মাটির দেওয়াল ও টিন দিয়ে নির্মাণ করেছিলেন। এলাকাবাসী আর্থিক দৈন্যতায় দীর্ঘ বছর সংস্কারের অভাবে সার্বজনীন এ মন্দিরটির চালের টিন ফুটো হয়েছে। বৃষ্টির পানি মাটির দেওয়ালে পড়ায় দেওয়াল যেকোন সময় ধসে পড়ার আশঙ্খা রয়েছে। পাশের বেড়াহীন নাট মন্দিরটিও একেবারে নড়েবড়ে। যেকোন সময় ঝড়ো বাতাসে উড়ে যেতে পারে এটিও। মোগলী মোহন পাড়া জগন্নাথ মন্দিরের পুরোহিত ত্রিদিপ সাধু বলেন, “আগে এই এলাকার নারী, পুরুষ নিয়মিত প্রভুকে ভোগ দিতে আসতেন। এখন মন্দিরটি ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই আসা বন্ধ করে দিয়েছে।” মন্দিরে ভোগ দিতে আসা সত্তরোর্ধ বৃদ্ধা পূর্ণদেবী বলেন, “মন্দির ভাঙ্গার ভয় থাকলেও ঈশ্বর প্রেমে মত্ত আমি মরার ভয় করিনা।” স্থানীয় ইউপি সদস্য সোনা মোহন ত্রিপুরা জানান, এলাকাটি প্রত্যন্ত অঞ্চল, সবাই খেতে খাওয়া মানুষ। তাই অর্থাভাবে এলাকার মানুষ ইচ্ছে থাকলেও এটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছে না। এই একমাত্র উপসনালয়টি ভেঙ্গে গেলে এলাকার মানুষজন ধর্মচর্চা থেকে পিছিয়ে পড়বে ও সমাজে অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়ে যাবে এবং যুব সমাজ বিভিন্ন নেশায় আসক্ত হতে পারে। ধর্মপ্রাণ সহজ সরল এলাকাবাসীর ধর্মচর্চা অব্যাহত রাখতে মন্দিরটি পুনঃনির্মানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন বয়োজ্যেষ্ঠ অনেক ধর্মযাজক।