গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৬নং বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা’র বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ওই ইউনিয়নের ৯ জন ইউপি সদস্য। তারা চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা দাবী করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, ২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনের পর ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু থেকেই বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সকল ক্ষেত্রেই সব কাজে দিক-নির্দেশনা অমান্য করে পরিষদের সদস্যদের সাথে কোন রকম পরামর্শ না করে বেপরোয়া ও অবৈধভাবে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। যার ফলে বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নবাসী। ইউপি সদস্যরা তাদের লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১% এর উত্তোলনকৃত অর্থ ভূয়া কার্যক্রম দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, জন্ম নিবন্ধনে সরকারি নির্ধারিত ফি দেওয়া সত্ত্বেও অতিরিক্ত ফি আদায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত ঈদ উপহার ভিজিএফ ৪২৯১ জন হত দরিদ্রদের মাঝে জনপ্রতি ১০ কেজি করে দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে জনপ্রতি ৮ কেজি করে চাল বিতরণ, গ্রাম আদালতের ফি ১০/২০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান সেখানে ২২০+২২০=৪শ ৪০ টাকা করে নেয়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বিডাব্লিউবি চক্রে অর্ন্তভূক্তির তালিকা অনিয়ম করে প্রকৃত লোকদের না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে নিজস্ব স্বজন এবং অর্থবিত্ত সরকারি চাকুরিজীবিদের পরিবারের মধ্যে বিতরণ করেন, ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স আদায়ের অর্থ আদায়ান্তে নিয়ম মাফিক ব্যাংকে জমা না রেখে পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, টিসিবি’র সুবিধাভোগীর নামীয় কার্ডের মাল নিজের কাছে রেখে কার্ডধারীকে না জানিয়ে চেয়ারম্যান মাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ, ২০২১-২২ অর্থ বছরে অতি দরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে অন্যের নাম দিয়ে নিজেই উক্ত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। বেতকাপা ইউনিয়নের সাতারপাড়া মৌজার বকুলের বাড়ীর সামনে রাস্তার ১৬টি এবং সাতারপাড়া মৌজার বটতলা নামক স্থানে ১টি গাছ যার মূল্য অনুমান ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করে। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ৯ জন সদস্য উক্ত চেয়ারম্যানের দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামানের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান।