লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে গেলো ২৪ ফেব্রুয়ারি। সম্মেলনকে উৎসবমুখর করতে ওই সময়ে পদ প্রত্যাশীরা তোরণ ব্যানার ফেষ্টুন লাগিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সম্মেলনের ১ মাস পেরিয়ে গেলেও সেই ব্যানার-ফেস্টুন এখনো নামিয়ে নেয়নি কেউ। রামগতি-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সড়কের চৌরাস্তা বাজারের উপরের রাস্তার পাশে ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্রায় প্রতিদিনই দূর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাজারের ব্যবস্থায়ীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও। মঙ্গলবার বিকেলে সভাপতি পদে দেখতে চাই এমন একটি বিলবোর্ডের সাথে ধাক্কা লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয় যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম ওরুপে বাবলু। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি (বাবলু) ওই বিলবোর্ডটি ছিড়ে ফেলেন। বাবলু ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। বিলবোর্ডের সৌজন্যে ছিলেন ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মো. হোসাইনুর রশীদ (সাগর)। এনিয়ে বিচার চেয়ে বুধবার ৩ জনকে অভিযুক্ত করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সাগর। স্থানীয়, ব্যবসায়ী ও দলীয় নেতারা জানায়, সম্মেলনের ১ মাস ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো বিলবোর্ড সরিয়ে নেয়নি পদ-পত্যাশীদের সমর্থকরা। এছাড়া ফেস্টুনগুলো দোকানের সামনে ও বাজারের উপর হওয়ায় ব্যবসায়ী ও বাজারে আসা ক্রেতাদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। দ্রুত জনচলাচলের এসব জায়গা থেকে সকল ধরনের ব্যানার-বিলবোর্ড অপসারণের দাবি জানান তারা। জানতে চাইলে মো. হোসাইনুর রশীদ সাগর বলেন, সম্মেলন শেষ হলেও এখনো ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়নি। বিলবোর্ডে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিল। কারো সমস্যা হলে আমাকেই বললেই আরও উপরে উঠিয়ে দিতাম। কিš‘ তারা আমার বিলবোর্ড ছিড়ে ফেলেছে। উল্টো অকথ্য ভাষায় গালমন্দও করে বাবলু। এসব বিষয়ে স্থানীয় নেতাদের পরামর্শে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। জহিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, সারাদিন রোযা রেখে বাজারে এসেছি। আসার পথেই সাগরের দেওয়া বিলবোর্ডের সাথে ধাক্কা লেগে মারাত্মক ব্যাথা পেয়েছি। এছাড়া অনেকেই এই বিলবোর্ডের সঙ্গে আহত হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর থানার এএসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, ওই বিলবোর্ড নিচে হওয়ার কারণে অনেকেই থাক্কা লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। বাবলুও আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফেস্টুন ছিড়েছেন বলে শুনেছি। নিজেদের অন্তকোন্দলের জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরববর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।