
যেসব মা বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন করেন, তারাও বেকার নন বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। কেউ সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করলে তিনি আর বেকার নন মনে করেন মন্ত্রী।
বুধবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত ‘শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২’ এর প্রভিশনাল রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এই সভার আয়োজন করা হয়।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে এখন বেকার জনগোষ্ঠীর হার কমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। আগে যা ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে বেকার পুরুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯০ হাজার এবং বেকার নারীর সংখ্যা নয় লাখ ৪০ হাজার।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের সময় কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্যের হার কমেছে। সরকার বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে কর্মসংস্থান বেড়েছে। করোনার সময় ২০ শতাংশ থেকে দারিদ্র্য কমে ১৬ শতাংশ হয়েছে। সরকার বিলিয়ন ডলার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে। আপনারা গভীরে গেলেই বুঝবেন দেশে দারিদ্র্য কমেছে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, করোনার সময় কর্মসংস্থান কমেনি বরং বেড়েছে। শহর ছেড়ে অনেকে গ্রামে গিয়ে মাছ, সবজি চাষ করেছেন। অনেকে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। লেবার (শ্রমিক) সেভাবে কমেনি। এসময় নারীর কর্মসংস্থানও বেড়েছে।