পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাঁচাবাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম গত এক সপ্তাহের চেয়ে কেজি প্রতি ২ হতে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি ভোগ্যপণ্যসহ মাংস ও মাছের দামও বেড়ে গেছে। সাধারণ ক্রেতাগণ বাজার মনিটরিং করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উপজেলার সুন্দরগঞ্জ পৌর বাজার, মীরগঞ্জ বাজারসহ পনেরটি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান মাস উপলক্ষে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। যার কারণে নিম্ন আয়ের ও অসহায় পরিবারদের পক্ষে কাঁচাবাজার ক্রয় করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবার মানবেতরভাবে রমজানের রোজা করছে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি আলু ২০-৩৫ টাকা, বেগুন ৩০-৫০ টাকা, পটল ৮০-১০০ টাকা, করলা ১০০-১২০ টাকা, সজিনা ১০০-১৪০ টাকা, টমেটো ২০-৩০ টাকা, গাজর ৬০-৮০টাকা, সিম ৬০-৮০ টাকা, শশা ৫০-৬০ টাকা, মুলা ৬০-৭০ টাকা, কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, পিয়াজ ৩৫-৫০ টাকা, রসুন ৮০-১২০ টাকা, মরিচ ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রমজানের আগে গরুর মাংস বিক্রি হত ৬৬০ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। ছাগলের মাংস ৮০০ টাকা পরিবর্তে ১০০০ টাকা। এছাড়া মাছের বাজারের কেজি ৩০-৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরগঞ্জ পৌর বাজারের ক্রেতা শামীম মিয়া জানান, রমজান উপলক্ষে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে কাঁচাবাজারের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে বাজার কিনতে এসে ঘুরে যাচ্ছে। মানুষের শ্রমের দাম বাড়েনি। কিন্তু পণের দাম বেড়ে গেছে। সে জন্য কাঁচাবাজার কিনতে অনেকের কষ্ট হচ্ছে। বাজার মনিটরিং করে পণ্যের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। সুন্দরগঞ্জ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম জানান, বেশিভাগ পণ্য জেলার বাহিরের আরদ থেকে আনতে হয়। মালামাল বহন যানবাহনের খরচ দ্বিগুন হারে বেড়ে গেছে। সে কারণে পণ্যের দামও বেড়ে গেছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য অনেক কম। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, প্রতিটি পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নের হাট-বাজারের মাইকিং করা হয়েছে। বাজার মনিটরিং চলছে , আরও জোরদার করা হবে।