
বুধবার রাতে ঝিনাইদহে মরমী কবি পাগলা কানাই এর ২১৩তম জন্ম জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভাহয়েছে । সদর উপজেলার বেড়বাড়ী গ্রামে কবির মাজারে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন এর সহযোগিতায় পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ ৭দিনব্যাপী আলোচনা ও মনোঙ্গ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রথীন্দ্র নাথ রায় এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সচিব সেলিম রেজা পিএএ।শুভে”ছা বক্তব্য রাখেন পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ এর সাধারন সম্পাদক ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রশীদ (এ্যাডঃ )। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলেিগর সাধারন সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন।প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন যশোর ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (বাংলা বিভাগ) ড. তপন কুমার গাঙ্গুলী।আলোচনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিট্টেট শিলা। আলোচনা শেষে রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অতিথিরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। “আরব দেশে মানব বেশে,এলো একজনা’যার পরশে লোহা ঘসলে ,হয়ে যায সোনা” “জিন্দা দেহে মুরদা বসন, থাকতে কেন পরনা, মন তুমি মরার ভাব জান না, মরার আগে না মরিলে পরে কিছুই হবে না/ আমি মরে দেখেছি, মরার বসন পরেছি, কয়েকদিন বেঁচে আছি, তোরা দেখবি যদি আয় পাগলা কানাই বলতেছি।’ এমন শত শত গানের স্রষ্টা মরমী কবি পাগলা কানায়ের ২১৩ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে কবির মাজারে পুস্পঅর্পন করেন ও পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন এর সহযোগিতায় পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এ অনুষ্ঠান চলবে আগামী ১৬মার্চ পর্যন্ত। জানা যায়, লোক-সাধনা ও মরমী সঙ্গীতের এ কবি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের বেড়বাড়ি গ্রামে বাংলা ১২১৬ সালের ২৫ ফাল্গুন জন্মগ্রহণ করেন এবং বাংলা ১২৯৬ সালের ২৮ আষাঢ় মুত্যবরণ করেন। বক্তাগন বলেন,বিশ্ব বাসী জেনেগেছে এ সাধকের নাম, মরমী কবি পাগলা কানাই এর নিয়ে বিভিন্ন দেশে এখন গবেষনা চালাচ্ছে।এ কবির মধ্যে অধ্যাতিক জ্ঞান ছিল।