শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা সদরের বিল্লাল ব্যাপারী নামের এক ব্যবসায়ীকে চাঁদার দাবীতে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের তিন নেতাসহ ৫ জনকে আসামী করে শরীয়তপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোটে মামলা করা হয়েছে। বিল্লাল ব্যাপারীর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল ব্যাপারী মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ সকল অভিযোগ করেন। ওই ঘটনায় ডামুড্যা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারন সস্পাদক আসাদুজ্জামান বাচ্চু মাদবর,উপজেলা আওযামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জুলহাস মাদবর,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল মাদবর, কবির চৌকিদার, টিটুসহ আরো কয়েজনকে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে রোববার মামলাটি দায়ের করেছেন ব্যবসায়ী বিল্লাল ব্যাপারী। আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) ঘটনাটি তদন্ত করার নির্দেশ দিযেছেন। মামলার এজাহার সূত্র ও স্থানীয় সূত্র জানায়,ডামুড্যা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারন সস্পাদক আসাদুজ্জামান বাচ্চু মাদবর,উপজেলা আওযামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জুলহাস মাদবর,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল মাদবর আপন তিন ভাই। এদের মধ্যে আসাদুজ্জামান বাচ্চু মাদবর ডামুড্যা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তাদের প্রতিবেশি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাই ব্যাপারী। তার ছেলে বিল্লাল ডামুড্যা বাজারের ব্যবসায়ী। স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন ব্যবসা ও নিবার্চনে আসাদুজ্জামান বাচ্চু মাদবর পক্ষ না নেয়ায় বিল্লালের সাথে তাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। মামলার এজাহারে উল্ল্যেখ করা হয়েছে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বিভিন্ন সময় ওই তিন নেতা বিল্লালের কাছে চাঁদা দাবী করেন। এ ঘটনা নিয়ে কয়েক দফায় ডামুড্যা থানায় সাধারন ডায়েরি করেন বিল্লাল। গত বৃহস্পতিবার ওই তিন নেতা তাদের কয়েক অনুসারিকে নিয়ে বিল্লালকে মারধর করেছেন এমন অভিযোগ ওঠে। রোববার বিল্লাল তাকে মারধর ও বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবীর ঘটনা উল্লেখ করে শরীয়তপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত তার আবেদন আমলে নিয়ে ঘটনাটি সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর জেলা শহরে সংবাদ সম্মেলন করেন বিল্লাল ব্যাপারির পরিবার। বিল্লালের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল ব্যাপারী বলেন,আমার ছেলেদের সাথে রুবেল মাদবর ও তার আরো দুই ভাই অকারনে শত্রুতা করছে। তাদের বিভিন্ন ব্যবসায় বাঁধা দিচ্ছেন,চাঁদা চাইছেন। প্রতিবাদ করলেই মারধর করে। আমি এর বিচার চাই। বিল্লাল ব্যাপারী বলেন,রুবেল মাদবরদের পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের নেতা। তারা রাজনৈতিত ছত্রছায়ায় থেকে আমাদের কাছে চাঁদা চাইছে। প্রতিবাদ করেছি,দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি। এ কারনে ক্ষুব্দ হয়ে আমাকে মারধর করা হয়েছে। জীবন নাশের হুমকী দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিযে বেরাচ্ছি। জানতে চাইলে ডামুড্যা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারন সস্পাদক আসাদুজ্জামান বাচ্চু মাদবর বলেন,সব মিথ্যা ঘটনা। আমার নির্বাচনে বিরোধিতা করেছিল,এ কারনে একটু মনমালিন্য আছে। কিন্তু চাঁদা দাবী ও মারধরের ঘটনাটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মেহেদী হাসান রুবেল বলেন,নানান বিষয় নিয়ে মুক্তিযেদ্ধার পরিবারের সাথে আমাদের দুরত্ব আছে। কোন তৃতীয় পক্ষর ইন্দনে আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করে মামলা করেছেন। জানতে চাইলে ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শরিফুল আলম বলেন,মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কাছে চাঁদা চাইছে এমন ঘটনার অভিযোগ পাইনি। তাকে হুমকী দেয়ার একটি অভিযোগ করেছিলেন,তদন্তর অনুমতি চেয়ে সেটি আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে আদালতে দুই পক্ষর দুটি চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে এমন খবর জেনেছি। ঘটনাগুলো তদন্ত করা হবে।