নীলফামারীর জলঢাকার পল্লীতে নিজ স্ত্রীকে ফেরত পেতে স্বামীর আকুতি, অতপর কোর্টে মামলা করার সংবাদ পাওয়া গেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম শিমুলবাড়ী গ্রামের মোঃ আলাউদ্দিনের পুত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও একই ইউনিয়নের পূর্ব শিমুলবাড়ী গ্রামের মোঃ মমিনুর রহমান (মাষ্টারের) মেয়ে মোনালিসা আক্তারের দীর্ঘ দিনের ভালোবাসার সম্পর্ক সুমধুর করে গড়ে তুলতে ২৩/০১/২০২১ ইং তারিখে নীলফামারী লটারি পাবলিক আদালতে উভয়ে উপস্থিত হয়ে বিবাহের কোর্ট এফিডেভিড করেন এবং একই দিনে জলঢাকা উপজেলা ৫ নং ধর্মপাল ইউনিয়নের নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রার কাজীর নিকট দুই লক্ষ পঁচিশ হাজার এক শত পাঁচ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গোপনে সংসার করে আসছিল। দীর্ঘ দুই বছর তিন মাস সংসার করার পর আমার স্ত্রী তার বাবা মার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে মেয়েকে বাবার বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে বলে আমার শ্বশুর মমিনুর রহমান। সেই সুবাদে স্ত্রী মোনালিসা বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায় এবং দুই-তিন পর স্বামীর বাড়িতে আসতে চাইলে বাবা মমিনুর রহমান ও মা লতিফা বেগমসহ ভাইরা মিলে বিভিন্ন প্রলভন দেখিয়ে আটক করে রাখে। এদিকে স্ত্রী বাবার বাড়ি থেকে আর ফেরত না আসলে স্বামী সেরাজুল ইসলামের লোকজন স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিতে গেলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফেরত পাঠায়।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি আমার স্ত্রীর ফোনে যোগাযোগ করলে স্ত্রী ফোন রিসিভ না করে শ্বশুর মমিনুর রহমান ফোন রিসিভ করেন এবং আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন,আমার মেয়ে মোনালিসাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বা তার সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করলে তোকে মেরে ফেলবো।
পরে অসহায় নিরুপায় হয়ে গত ০২/০৩/২০২৩ ইং তারিখে তার স্ত্রীকে ফেরত পাওয়া ও স্ত্রী মোনালিসাকে উদ্ধারের জন্য সিরজুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত জলঢাকা, নীলফামারী কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
বিবাদী মোনালিসার পিতা মমিনুর রহমান বলেন, আমরা কিসের মীমাংসা করব, তারা কোর্টে মামলা দিয়েছে কোর্ট থেকে আমাদের নোটিশ দিয়েছে আমরা হাজিরা দিবো।