পঞ্চগড় আইনজীবি সমিতির প্রধান দুই পদে বিএনপি। পঞ্চগড় জেলা আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদসহ গুরুত্বপূর্ণ ৫ টি পদে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম পঞ্চগড় জেলা শাখার মনোনীত প্যানেল। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে রয়েছে আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ প্যানেল। সমিতির সৃষ্ট ১১ পদের ৬টিই তাদের দখলে। সোমবার দিনব্যাপী ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে রাতে এই ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. অখিল চন্দ্র বর্মন। জানা যায়, ১১টি পদের মধ্যে এবার শুধু সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং লিগ্যাল এইড সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। বাকী ৮ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ফলাফল আগেই ঘোষণা করা হয়েছিলো।সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের আব্দুল বারী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ কামরুজ্জামান পেয়েছেন ৪৬ ভোট। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ১১৯ ভোট পেয় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ মনোনীত ফখরুল হাসান তপু। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন পেয়েছেন ৮৫ ভোট। আর লিগ্যাল এইড সম্পাদক পদে ১০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সোলায়মান হক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হুমায়ুন কবীর বিপ্লব পেয়েছেন ১০০ ভোট।বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন- সভাপতি পদে গোলাম হাফিজ (বিএনপি), সহ-সভাপতি পদে নজরুল ইসলাম (আ.লীগ), লাইব্রেরী সম্পাদক পদে এ্যাড. জালাল উদ্দীন (আ.লীগ) এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল মামুন (আ.লীগ)। এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন- ইয়াসিনুল হক দুলাল (বিএনপি), জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী (আ.লীগ), মাহবুবুর রশিদ খোকন (আ.লীগ) এবং রওশন আখতার লাভলী (বিএনপি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. অখিল চন্দ্র বর্মন জানান, তিন পদের নির্বাচনে ২১৩ জন ভোটারের মধ্যে ২০৭ জন ভোট দিয়েছেন। আর তার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন-অ্যাড. মনিরুজ্জামান মানিক ও অ্যাড. সোনিয়া আখতার।