গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নে আদায়কৃত জনগণের হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে এ্যাকটিভ পাওয়ার ৫৫ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ঈমাম রাসেল (৪৫) এর বিরুদ্ধে। খোয়া যাওয়া ১৪ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বল্লমঝাড় ইউনিয়নের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে পরিবার জরিপ (অনলাইন-অফলাইন এসেসমেন্ট তালিকা প্রস্তুত করতে এ্যাকটিভ পাওয়ার -৫৫ লিমিটেড ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হাসান ঈমাম রাসেলের সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে গেল বছরের ২০ জুন একটি চুক্তিপত্র হয়। সেখানে অফলাইনে প্রস্তুতকৃত এসেসমেন্ট তালিকা অনুসারে ট্যাক্স আদায়ের ৩০ লক্ষ টাকা লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয় । চুক্তিপত্র অনুসারে ওই বছরেই হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। কয়েক মাসে জনগণের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ট্যাক্স আদায় করে ইউপি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ হাজার টাকা জমা দেয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান বাকি টাকা ব্যাংকে জমা দিতে বললে অভিযুক্ত রাসেল সাত কার্যদিবসের মধ্যে বাকি টাকা জমা দিবে বলে অঙ্গীকার করেন এবং ট্যাক্স আদায় পুনরায় শুরু করেন। কিন্তু সাত কার্যদিবসেও জনগণ থেকে আদায়কৃত ট্যাক্সের টাকা ইউপির নিদিষ্ঠ ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে সটকে পড়ে। পরবর্তীতে সরকারি টাকা জমা দেওয়ার জন্য একটি সতর্কীকরণ পত্র ইস্যু করেন ইউপি চেয়ারম্যান। এতেও রাসেল টাকা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগ দায়ের করেন ইউপি চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।