কক্সবাজার সদরের পৃথক জায়গায় অভিযান চালিয়ে বনের জায়গা দখল করে নির্মিতব্য একাধিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বেলা ০১:০০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৃথক স্থানে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জের কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা।
তিনি জানান, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জের লিংক রোড বিট কাম চেক স্টেশনের আওতাধীন দক্ষিণ মুহুরিপাড়া এলাকায় বনের জায়গায় পাহাড় কেটে দালান নির্মাণের তথ্য আসে।
এ খবরে বেলা ১টার দিকে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সরোয়ার আলমের নির্দেশনায় কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে দক্ষিণ মুহুরিপাড়া এলাকায় অবৈধভাবে নির্মিত দুটি পাকা দালান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
মুহুরিপাড়ার অভিযান শেষে একই ধরনের অভিযোগে কক্সবাজার সদরের কস্তুরাঘাট বিটের আওতাধীন সমিতিপাড়া এলাকায় বন বিভাগের সৃজিত বাগানের মধ্যে দখলকারীদের নির্মিত স্থাপনা ভেঙে সরকারি জমি উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহার তত্ত্বাবধানে এ অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন লিংক রোড বিট কর্মকর্তা মো. সোহেল হোসেন, হিমছড়ি বিট কর্মকর্তা কামরুজ্জামান শোভন, চেইন্দা বিট কর্মকর্তা ফছিউল আলম শুভ, কস্তুরাঘাট বিট কর্মকর্তা ক্যাচিং ঊ মারমাসহ কক্সবাজার বন রেঞ্জের বিভিন্ন বিটের স্টাফ ও সিপিজিরা।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সরোয়ার আলম বলেন, বনের জমির পরিমাণের বিপরীতে লোকবল কম। কিন্তু বনকে অবৈধভাবে ক্ষতবিক্ষত ও ভোগ করার লোকজন বেশি। সব দখলবাজ ও ক্ষমতাবানরা একীভূত হয়ে পাহাড় ও বন ধ্বংস করায় অনেক সময় অনেক কিছু বন বিভাগের অগোচরে থাকে। কিন্তু যখনই কোন পাহাড় কাটা ও বনে পাকা দালান করার তথ্য আসে ততক্ষণাতই অভিযান চালানো হয়।
বনখেকোদের জন্য আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করি। পাহাড়ের আশপাশের সব পেশার লোকজনের সহযোগিতা পেলেই আমরা সফলকাম হব। তাই সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।