খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কয়লার সন্ধান পেয়েছেন বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি যাচাই করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি সত্যি হলে এই কয়লা হয়ে উঠতে পারে জাতীয় অর্থনীতির বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র।
সরেজমিন স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাটিরাঙা উপজেলার দুর্গম বামা গোমতী এলাকায় মাটি খুঁড়ে সম্ভাব্য কয়লার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
স্থানীয় কৃষক মো. হানিফ জানান, প্রায় বছরখানেক আগে আদা-হলুদ রোপণের জন্য মাটি খননের পর কয়লা দেখতে পান। পরে কৌতূহলী হয়ে এসব কয়লা সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়ে তারা নিশ্চিত হন। পরে বিষয়টি অন্যদের জানালে তারাও আগ্রহী হয়ে সেসব কয়লা সংগ্রহ করে পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছেন।
বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন এই কৃষক।
আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইউনুছ মিয়া বলেন, ‘এগুলো কয়লা। কারণ, লোকজন এগুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছেন।’
আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গণি বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পরে আমিও ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পাহাড়ের মাটির নিচে থাকা পাথর কয়লা মনে হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চার বছরেও এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়ায় হতাশ তিনি। বলেন, ‘এই বিষয়ে যাচাই করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হলে দেশে কয়লার ঘাটতি পূরণ হবে। যে জ্বালানি সংকট রয়েছে তাও দূর হবে।’
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। যাচাই-বাছাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে। পরীক্ষার পরে বলা যাবে এগুলো কয়লা কিনা।’