বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের শেহলিয়াবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মোঃ হেলাল উদ্দিন এবং বেলাল শেখের বিরুদ্ধে একই গ্রামের বাসিন্দা রহমতুল্লার ছেলে মোঃ এমদাদুল হক বাবু এবং মৃত সোলাইমান আলীর ছেলে মোঃ সুলতান মাহমুদ ও স্বপনের প্রায় ৪৮ শতাংশ বোরো ধান ক্ষেতে সেচ বন্ধের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা কৃষি অফিসার, ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ), বগুড়া পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিস -২ বরাবর লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
৯ই মার্চ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় দীর্ঘ সময় ধরে বোরো ধানক্ষেতে সেচ না দেয়ায় পুরো জমি ফেটে চৌচির হয়েগেছে। পানির অভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে ধানক্ষেত, এতে নষ্ট হবার পথে কৃষকদের পুরো জমির ফসল। চারা ধান রক্ষায় তাই কোন উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগী কৃষক এমদাদুল হক বাবু ও সুলতান মাহমুদ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের সুত্রে জানা যায়, প্রতিহিংসার বসবতি হয়ে শেহলিয়াবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য ফজলুল হক সম্রাট ও আবু হাসেম মন্টুর নির্দেশে সেচ বন্ধ রেখেছে তার ভাই পাম্প মালিক হেলাল উদ্দিন ও বেলাল শেখ। সেচ বন্ধের বিষয়টি মৌখিক ভাবে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জাননো হলেও সুফল পায়নি কৃষক পরিবার।
উল্লেখ্য , কিছুদিন পূর্বে শেহলিয়াবাড়ী গ্রামের কবরস্থান ও শেহলিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে ইউপি সদস্য ফজলুল হক সম্রাটের পরিবার ও প্রভাষক আলী হাসানের পরিবারের সাথে মতবিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধীতার সুত্র ধরেই সেচ বন্ধ হতে পারে বলে মনে করেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার।
এপ্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন কৃষক দ্বয়ের অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে খতিয়ে দেখার জন্য ধুনট থানা অফিসার ইনচার্জকে বলা হয়েছে। তবে খাদ্য উৎপাদন ব্যহত করা এবং সেচ বন্ধ রাখা বিষয়টি আসলেই নিন্দনীয়।