সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে খাগড়াছড়ি শিশু একাডেমি মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি। প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনই আমাদের বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দেয়। এ ভাষন বাংলাদেশের সোনার মানুষ হওয়ার বীজ ও চারা। বঙ্গবন্ধুর সেই দিনে একটা আঙুলের ইছারাই যুদ্ধ করার সাহস হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষের। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও ত্যাগের কারণে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তরুণ প্রজন্মদের মাঝে জাগ্রত করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সকলে মিলে কাজ করতে হবে। আমরা সোনার বাংলাদেশে সোনার মানুষ হতে চাই। বিশ্বমানের বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই। এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা উদ্যোগ ও সাহস। বিশেষ অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক, পিপিএম; জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও যুদ্ধকালীন বি এল এফ অধিনায়ক (মুজিব বাহিনী) রন বিক্রম ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা রন বিক্রম ত্রিপুরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিলো মন্ত্রের মতো। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, কিন্তু দেশ এখনো মুক্ত হয়নি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলো সোনার মানুষ তৈরি করতে। কিন্তু আমরা এখনো সোনার মানুষ হতে পারিনি। আমাকে ২মাস ২১দিন গুম করেছিলো, সেই দিনে যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিলো। বঙ্গবন্ধুর কন্যা তার পিতা অসমাপ্ত রেখে যাওয়া কাজ তা করে যাচ্ছে। সোনার মানুষ হতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো: নাইমুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে, বুঝাতে হবে। ভাষন শুনলে হবে না। তাৎপর্য জানতে হবে, বুঝতে হবে। একাত্তরে দেশ স্বাধীন না হলে, বর্তমানে দেশে কিছুই হতো না। আলোচনা সভা শেষে দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন ইভেন্টে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা। এরপর স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।