দীর্ঘ মেয়াদী রোগে আক্রান্ত রোগীরা যাতে নিজেরাই নিজেদের সেবা গ্রহণ করতে পারেন সেজন্য দক্ষতা অর্জনে নার্সিং শিক্ষা কারিকুলামে ‘ডিজিকেয়ার’ বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
এর মাধ্যমে নার্সিং শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের পারদর্শী ও ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণে রোগীকে সহযোগিতায় দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (শিক্ষা) ও মহাপরিচালক (নার্সিং) বরাবর বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে।
রবিবার ডিজিকেয়ার প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডাঃ মোস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের উদ্বুদ্ধকরণে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালের এক জরিপের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়, বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৫৯ শতাংশ হয় অসংক্রামক রোগে। এসব রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দেয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতিতে ডিজিকেয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী অসংক্রামক রোগে আক্রান্তদের অনলাইনে পরামর্শ সেবা প্রদান করা যেতে পারে।
এসব বিষয়ে নার্সিং শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে রোগীকে সহযোগিতা করা, নার্সিং শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী করে তোলা, নার্সিং শিক্ষা কারিকুলামে প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাক্রম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মডিউল তৈরি এবং তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা এবং জনমত ও জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন, ফিনল্যান্ডের টিএএমকের সোস্যাল সার্ভিস এন্ড হেল্থ কেয়ারের সিনিয়র লেকচারার ড. নিনা স্মোলেন্ডর, পর্তুগালের কুম্বিরা স্কুল অফ নার্সিংয়ের অধ্যাপক পেড্রো মিগেল সানটোস, ঢাকার ডিজি হেল্থ-এর এম্ববিডিসি ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ কাজী সফিকুল হালিম, ভিয়েতনামের হ্যানয় মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ফ্যাকালটি অফ নার্সিংয়ের ভাইস ডীন ড. টুরং কোয়াং টুরং এবং খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মাসুদ মো. আব্দুল আজিজ।