গত তিন নির্বাচনে বিএনপির বিপর্যয় হয়েছে, আগামী নির্বাচনে চতুর্থ বারের মতো বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনও দেশে সংবিধান অনুযায়ী হবে। চেষ্টা করবো বিএনপিকে নির্বাচনে আনার। না আসলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হবে। গত তিনটি নির্বাচনে বিএনপির চরম বিপর্যয় হয়েছে, তাদের কর্মকাণ্ড দেখে আমার মনে হয়, আগামী নির্বাচনে চতুর্থ বারের মতো বিএনপির বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং বিএনপির অস্তিত্বের স্বার্থে তাদের নেতৃবৃন্দ একটা পর্যায়ে গিয়ে নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে।
শনিবার টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন দেখে মানুষ খুবই খুশি। মানুষ উন্নয়নের প্রশংসা করছে। স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল- ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ নির্মাণের, সে লক্ষ্যেই দেশ এগিয়ে চলেছে। কাজেই, দেশের জনগণ আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবে।
পোল্ট্রি মুরগির দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. রাজ্জাক বলেন, করোনার শুরু থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন যাবৎ পোল্ট্রি ব্যবসায়ী, খামারি, উদ্যোক্তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন, লস দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে এবছর গত দুই মাস ধরে পোল্ট্রির মুরগির দাম অনেক বেশি। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের প্রান্তিক খামারিরাও ঠিকমতো দাম পাচ্ছেন না। এ বিষয়টি আমি সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে তুলে ধরবো। এমন একটা নীতি আমাদের নির্ধারণ করতে হবে, যার মাধ্যমে পোল্ট্রির দাম সহনশীল রাখা যাবে, যাতে করে নিম্ন-আয়ের সীমিত আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা মধ্যে থাকে এবং একইসঙ্গে ব্যবসায়ী, খামারি ও উদ্যোক্তারা লাভবান হয়।
কুমুদিনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বদরুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি, খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল করিম মিঞা প্রমুখ।