কুষ্টিয়া পৌরসভার হাট বাজার ইজারার টেন্ডার জমাদানকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে নানা নাটকীয়তা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীরা এবং বিএনপি জামায়াতের রাজনীতির সাথে ছাত্র জীবনে জড়িতরা হঠাৎ করে এই ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে মাঠ গরম করতে চাচ্ছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় জনৈক ইব্রাহিম হোসেন যিনি অতীতে কখনও কোন হাট বাজার ইজারার সাথে জড়িত ছিলেন না। এমন একজন ব্যক্তি বাদী হয়ে কুচ্ছিা মডেল থানায় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ এবং যুবলীগের ২৫ নেতাকর্মীর নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় ফেসবুক লাইভে দেখা যাচ্ছে, যারা টেন্ডার ছিনিয়ে নিচ্ছে তারা কেউ আসামী হয়নি। অথচ যারা ঘটনাস্থলে ছিলো না তাদের নামে মামলা করা হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের ঘায়েল করতে এই মামলার অবতারণা বলে সাধারণ মানুষ মনে করছেন। বিএনপির কর্মী এই ব্যক্তির মামলাকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তার ঝোপ বুঝে কোপ মনে করছেন। জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই একটি চক্র কুচ্ছিা শহরে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী শূন্য করতে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে। কয়েকটি পত্রিকা ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের নাম তুলে না ধরে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের ইঙ্গিত করে সংবাদ পরিবেশন করে তাদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। এজাহাে কুষ্টিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কৌশিক আহমেদ, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফিল উদ্দিন, কুষ্টিয়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানব চাকী, কুষ্টিয়া শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিব কোরাইশি, কুচ্ছিা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফেরদৌস খন্দকার সহ অজ্ঞাত ২০ জনের নামে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেছেন। যারা কুষ্টিয়া শহরে জঙ্গী ও মৌলবাদ বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে সোচ্চার থাকে তাদের টার্গেট করে এই মামলা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের দাবি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে থলের বিড়ালকে বের করে আনতে হবে। ফেসবুক লাইভের ফুটেজ দেখে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, অন্যদিকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি উঠেছে। নাটকীয়তার মূল চক্রকে সামনে এনে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি নেতাকর্মীদের।