নীলফামারী জলঢাকায় শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চাড়ালকাটা নদীর তীরের রাস্তায় বন্যার সময় ভাঙ্গনের ফলে প্রসস্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা ভাঙতে ভাঙতে বর্তমানে ক্ষেতের জমির আইলে পরিনত হয়েছে। এতে জন্য দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ১০ হাজার মানুষকে। রাস্তাটির এ বেহাল দশা প্রায় ৬ বছর ধরে। এ অঞ্চলের অর্থনীতি আবর্তিত হয় এই রাস্তাটিকে ঘিরে। বিভিন্ন ইউনিয়নের ৭ থেকে ৮ গ্রামের লোক এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। সরজমিনে পরিদর্শন দেখা যায়, রাস্তাটির সংস্কার আকুতি নিয়ে শত শত মানুষ আকুতি জানায়। তাদের দাবী রাস্তাটি সংস্কার অতি জরুরী। প্রায় ৫ বছর আগে বর্ষাকালীন বন্যার সময় এ রাস্তাটি পানির তোরে ভেঙ্গে যায়। শিমুলবাড়ীর ঘুঘুমাড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী রাসেদা আক্তার বলে, এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত চলাচল করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। ডোমার বোড়াগাড়ী এলাকার মৎস্য চাষি গোলাম রব্বানী (৪০) বলেন, আমি ৭ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করে আসছি আগে এ রাস্তা দিয়ে পিকাপ চলাচল করতো। রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে ভ্যান যাওয়ার মত উপযোগী নয়। আমি একের অধিকবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত জোনাব আলীর ছেলে আজহারুল ইসলাম, জিনা বেগম, আহেদা বেগম, শাহানাজ, তানজিলা, তারা জানায়, ‘নদীর এতটাই বেগ বাড়ী ছাড়ি পালেবার নাগছে। আস্তাটা ঠিক করি দেও। নোয়ায়তা কি? আস্তায় নাগে হামাক।’ এ বিষয়ে ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার রমজান আলী জানায়, রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে এখানকার ১০ হাজার মানুষ যাতায়াতের অসুবিধার শিকার হচ্ছে। তাই আমি রাস্তাটি সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভাঙ্গন কবলিত রাস্তাটিতে বাঁশের গাইড ওয়াল তৈরি করে মাটি ফেলে দিয়েছিলাম সেটাও টিকেনি। এখানে অল্প বরাদ্দে এ ভাঙ্গন ঠেকানো যাবে না। তাই এ দুর্ভোগ।