কুষ্টিয়াতে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনিং রিক্রুট কনস্টেবল (টি আরসি) পদে
নিয়োগ পেলো ৭৪ যুবক। জন প্রতি সরকারি ১২০ টাকা খরচে কুষ্টিয়ার পুলিশ
সুপারের কঠোর নজরদারির মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে
জানা যায়। নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্য ৬৯ জন ছেলে ও ৫ জন মেয়ে। মঙ্গলবার ২৮
ফেব্র“য়ারি কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে
সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিং করে পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, রাষ্ট্রীয়
কাজে আজকে যাদের কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হলো এরা প্রত্যেকেই আগামী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করবে বলে আমি মনে করি।
নিয়োগ প্রক্রিয়া কোন অর্থের বিনিময়ে কাউকে চাকুরী দেওয়া হলো কিনা জানতে
চাইলে পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, আজ আমার সময়ে যারা চাকুরী পেলো, এদের
পরিবার বা কেউ বলতে পারবেনা এদের কাছ থেকে কোন রকমের অর্থ নেওয়া হয়েছে।
শুধু মাত্র তাদের টেলিটকে আবেদন ফি বাবদ খরচ হয়েছে ১২০ টাকা। এছাড়া তাদের
কোন টাকা পয়সা লাগেনি।
এছাড়াও মিডিয়ার সামনে চাকরি পাওয়া ৭৪ জনের পরিবারকে মুখোমুখি করেন এসপি
খাইরুল আলম। কীভাবে চাকরির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে তা পরিবারের মানুষের
বক্তব্যের মাধ্যমেই ফুটে ওঠে। এ কার্যক্রম এর মাধ্যমেই শতভাগ স্বচ্ছতার
বিশেষ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। অনেকের
মতে কুষ্টিয়াতে পরপর তিনবার এমন নিয়োগ দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন এসপি খাইরুল
আলম। প্রতিটি পরিবারের আনন্দ অশ্র“ আর দু’হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে
দোয়া ও আশীর্বাদ এসপি হিসেবে তাঁর বড় অর্জন বলে মনে করেন তিনি।
সদ্য কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাওয়া সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমার চাকরির জন্য
শুধুমাত্র ১২০ টাকা খরচ হয়েছে। এ ছাড়া আমার আর কোন টাকা পয়সা খরচ হয়নি।
আমার যোগ্যতার কারনে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার স্যার আমাকে চাকুরী দিয়েছেন।
আমিরুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নৃসিংহপুর গ্রামের। তিনি বলেন, আমার
কনিষ্ঠ ছেলে বাহারুল ইসলামের চাকুরী এত সহজে মাত্র ১২০ টাকায় হবে আমার
জানাছিলনা। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মহোদয় অত্যান্ত ভালো মনের মানুষ, আমি
তার মঙ্গল কামনা করছি।
চাকুরিপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকের পিতা দিনমজুর, চায়ের দোকানদার, ভ্যান
চালক, চৌকিদার, মসজিদের মোয়াজ্জিন। আর্থিকভাবে তারা নিম্ন মধ্যবিত্ত
পরিবারের সন্তান। তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, যদি অর্থের
বিনিময়ে চাকুরি হতো, তাহলে আমরা এই চাকুরি পেতাম না। কারণ আমাদের
পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতই খারাপ যে ঠিকমতো খাবার পর্যন্ত আমরা পায়নি।
সেখানে টাকা দিয়ে চাকুরি নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এসপি স্যার বারবার
আমাদের সতর্ক করেছেন, কাউকে কোন টাকা না দেওয়ার জন্য। দালাল ধরলে কিংবা
তদবির করলে তাকে অযোগ্য হিসাবে ধরা হবে।