দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি জাকির হোসেন মোস্তানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, কমলনগর, রামগতি ও রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলালের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল, কমলনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ মজিদ, রায়পুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম আর সুমন,রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি খালেদ মাহমুদ ফারুক প্রমূখ।
বক্তারা বলেন অবিলম্বে জাকির হোসেন মোস্তানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে সাংবাদিকরা আরো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে উপস্থিত সাংবাদিকদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য বিগত ২০২১ সালের ২৮নভেম্বর রামগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতায় এক যুবক নিহত হয়। যাহা ২৯ নভেম্বর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রথম পৃষ্টায় “ভোট কেন্দ্রে ঢুকে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা” শিরোনামে প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিক জাকির হোসেনকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দমকি প্রদান করে হত্যাকারীরা। এ হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার বোন সোনিয়া আক্তার বাদী হয়ে ২২জনকে আসামী করে রামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী মাসুদকে পরদিন গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের ১৪দিন পর মাসুদ পুলিশ হেফাজতে ষ্ট্রোক করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। পরে ইত্তেফাকে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামীদের প্ররোচনায় মাসুদের স্ত্রী আখি আক্তার বাদী হয়ে সাংবাদিক জাকির হোসেন মোস্তানকে প্রধান আসামী করে রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ দীর্ঘ ৬ মাস তদন্ত করে উক্ত মামলার সকল আসামীকে বাদ দিয়ে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করে। ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামীরা আবারো প্ররোচনা দিয়ে মামলার বাদীকে আদালতে নারাজী দিতে বলে। সে সুবাদে বাদী আদালতে নারাজী দিলে আদালত মামলাটি পিবিআই নোয়াখালী তদন্তের আদেশ দেন। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই নোয়াখালীতে তদন্তানাধিন আছে।