পা দিয়ে উত্তরপত্র লিখে এইচএসসি পাস করা ফরিদপুরের নগরকান্দার সেই হাতবিহীন অদম্য জসিম মাতুব্বরের পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান। রবিবার বিকালে উপজেলার তালমা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে জসিমের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সাথে কথা বলেন তিনি। জসিম, যতদিন পড়া-লেখা করবে ততদিন তার পড়া-লেখার খরচ বহন করার দায়িত্ব নেন ছাত্রলীগ নেতা রিয়ান। জসিম এবার এইচএসসি পরীক্ষায় বানিজ্য শাখা থেকে জিপিএ ৪.২৯ পেয়ে পাস করেন।
প্রতিবন্ধী জসিম দিনমজুর মো. হানিফ মাতুব্বর ও গৃহিণী তছিরন বেগম দম্পতির ছেলে। জন্মের পর থেকে জসিমের দুটি হাত না থাকলেও জীবনসংগ্রামে কখনো থেমে থাকেনি তিনি। পা দিয়েই হাতের যাবতীয় কাজ করে নজির সৃষ্টি করেছেন সে। পাশাপশি পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে অদম্য এ মেধাবী। তার অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে যেন সবকিছু হার মেনেছে।
সংগ্রামী জসিম মাতুব্বর বলেন, পা দিয়ে লিখে এইচএসসি পাস করার খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়ান ভাই আমার বাড়িতে এসে আমার সকল পড়া-লেখার খরচ বহন করার আশ^াস দিয়েছেন। রিয়ান ভাই একজন ভালো মানুষ। রিয়ান ভাই আমার পাশে থাকলে আমি আমার লক্ষে পৌছাতে পারবো।
জসিম আরো বলেন, আমার বাবা একজন কৃষক। তাই পড়ালেখার পাশাপাশি জীবিকার তাগিদে নগরকান্দা বাজারের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে মনা টেলিকমে মোবাইল সার্ভিসিং কাজ করি। দুই হাত না থাকা সত্ত্বেও আমি পুরোপুরি কাজ শিখে নিজে আয় করতে পারছি। আমি সকলের কাছে দোয়া চাই। আমার ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় পড়ার অনেক ইচ্ছা। রিয়ান ভাই আমার পাশে থাকলে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে ইনশাল্লাহ।
ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, মো. জসিম মাতুব্বরের দুটি হাত নেই। পা দিয়ে লিখে এইচএসসি পাশ করেছে। সে অনেক কষ্ট করে পড়া-লেখা করছে। এখবর পেয়ে আমি জসিমের বাড়িতে যাই। আমাকে আল্লাহু যদি বাচিয়ে রাখেন তাহলে জসিম যতদিন পড়া-লেখা করবে, ততদিন আমি তার পড়া-লেখার খরচ বহন করবো। আমি চাই অদম্য জসিম সবার মতো এগিয়ে যাক।