কানাডার টরন্টোতে নিহত তিন শিক্ষার্থীর মরদেহ দ্রুততার সঙ্গে দেশে পাঠানোর জন্য কাজ করছে বাংলাদেশের মিশন। মৃতদের মৃত্যুসনদ এবং পাসপোর্টের কপি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা এ বিষয়ে কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন কানাডাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খলিলুর রহমান।
টরন্টোর স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় শাহরিয়ার খান, আরিয়ান আলম দিপ্ত এবং এঞ্জেলা বাড়ৈ নিহত হয়েছেন। এছাড়াও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নিবিড়ের অবস্থা ভালো নয়। তবে আমরা খোঁজ-খবর রাখছি এবং যেকোনও প্রয়োজনে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।
মরদেহ পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, এর একটি প্রক্রিয়া আছে। মৃত্যুসনদ, পাসপোর্টের কপি, প্লেনের বুকিংসহ অন্যান্য বিষয়গুলো সম্পন্ন করতে কিছু সময় প্রয়োজন। তবে আমরা দ্রুততম সময়ে এটি শেষ করবো।
এর আগে টরন্টো পুলিশ সূত্র জানায়, টরেন্টো নগরীর মিসিসাগা এলাকায় ৪২৭ হাইওয়ে ও ডানডাস ইন্টারসেকশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চার জনই বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনার জন্য টরন্টোতে বসবাস করছিলেন।
অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশের বরাত দিয়ে কানাডার সিবিসি নিউজ বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় এক নারী এবং ২০ বছর বয়সী এক তরুণ ও ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর মারা গেছে। আহত চালক ২১ বছর বয়সী তরুণ গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, দুর্ঘটনার আগে নিবিড় কুমার গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়িটি খুব দ্রুতগতিতে চলছিল। এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে ওঠার সময় টার্ন নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে গাড়িটি হাইওয়ের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই গাড়ির দুই আরোহী মারা যান। সেখানকার প্যারামেডিকরা নিশ্চিত করেছেন, ঘটনাস্থলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে এবং আরও দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও একজন।
হতাহতদের পারিবারিক সূত্রে যোগাযোগ করলে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে তারা জানান, কুমার বিশ্বজিতের ছেলে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তারা জানান, ছেলের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কুমার বিশ্বজিৎ গতকাল রাতে কানাডার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।