জাতীয় সংসদে ‘হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) বিল ২০২৩’ পাস হয়েছে।
হাট ও বাজারের সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল বা কোনো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ- বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দ-ে দ-িত করার বিধান রেখে সংসদে বিলটি পাস হয়েছে।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ৮ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। পরে বিলটি আজ পাশের জন্য তোলেন ভূমিমন্ত্রী।
এসময় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘দলিল যার জমি তার’ এ স্লোগানটি অনেক জনপ্রিয় হয়েছে। আগামী অধিবেশনে এটি বিল আকারে সংসদে তোলা হবে। কোন নামজারি, খাজনা বা পর্চা ডিজিটালভাবে (অনলাইনে) ছাড়া গ্রহণ করা হচ্ছে না। সারা দেশে ভূমি অফিসে দুর্নীতি বন্ধে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। আশা করা যায় এখন থেকে ভূমি অফিস সম্পর্কিত যত ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ ছিল তা বন্ধ হবে।
বিলে অর্থদ- আরোপের ক্ষেত্রে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ফলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ অনুচ্ছেদের বাইরে গিয়ে তিনি অর্থদ- আরোপ করতে পারবেন। আর বিলের বিধান লঙ্ঘন করে কোনো ব্যক্তি হাট ও বাজারের সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখলে রাখলে বা খাস জমির ওপর কোনো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাট ও বাজার স্থাপন ও ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাসহ গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে ১৯৫৯ সালে প্রণীত অধ্যাদেশ রহিত করে বাংলায় নতুন বিলটি আনা হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং স্টেক হোল্ডারদের মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়েছে।