খুলনা বিএমএ শাখা আয়োজিত ২৪ জানুয়ারী ডিসি সম্মেলনে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সমূহ তদারকির দায়িত্ব ডিসিদের উপর হস্তান্তর করার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী প্রস্তাব প্রত্যাহার ও রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা প্রয়োজনীয় জনবল, অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি ও ঔষধপত্রের সংকট নিরসন, চিৎিসক, স্বাস্থ্যকর্মীর ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সমূহের নিরাপত্তা,চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সমূহ তদারকি জন্য উপজেলায় স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জেলায় সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিচালকের উপরে এবং সমস্ত দায়িত্ব মহাপরিচালক স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালকবৃন্দের উপর অর্পণের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন জানিয়ে খুলনা( বিএমএ)র পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ জানানো হয়। এ সংবাদ সম্মেলনে খুলনা শাখার (বিএমএ)র সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ডিসি সম্মেলনে পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান তদারকির দায়িত্ব ডিসিদের উপর অপর্ণের ঘোষনা দিয়েছেন। আমরা এই প্রস্তাবের প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা করছি। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সমূহ তদারকির জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জেলায় সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পর্যায়ে পরিচালক স্বাস্থ্য, এবং সবার উপরে আছেন মহাপরিচালক স্বাস্থ্য ও তার দপ্তরের পরিচালকবৃন্দ। উপযুক্ত ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও অপেশাদার, ঔপনিবেশিক ভাবধারার আমলা দ্বারা আরো অতিরিক্ত তদারকি করা হলে দৈত্ব তদারকি ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। আমরা মনে করি এটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ব্যবস্থা ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আমলাতন্ত্রের পূর্বনির্ধারিত দুরাভিসন্ধীমূলক ষড়যন্ত্রের আংশবিশেষ। আমাদের বিশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে একটি কুচক্রি মহল বুল বুঝিয়ে তৃণমুলে প্রশাসনিক ক্যাডার ও চিকিৎসকদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত করেছে। আমরা সুষ্পষ্ট করে বলতে চাই চিকিৎসদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ষড়যন্ত্র করা হলে চিকিৎসকরা তা মেনে নেবে না এবং যেকোন মূল্যে তা প্রতিহত করবে। এতে অমানবিক, নির্মম ও নিষ্ঠুর পরিস্থিতির অবতারনা হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তা ভালো ভাবে জানেন। এ সময় রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সমূহের জনবল, অবকাঠামো,যন্ত্রপাতি ও ঔসধপত্রের সংকট নিরসন এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মস্থলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা, কৃত্য—পেশাভিত্তিক মন্ত্রালয় প্রতিষ্ঠা, আস্তাঃ ক্যাডার বৈষম্য রোধে সরকারের কাছে ৮ প্রস্তাত উত্থাপন করেন। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে, গণ—প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসক তার দায়িত্ব ডিসিদের উপর হস্তান্তরের যে নির্দেশ দিয়েছেন তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসার প্রতিষ্ঠান সমূহে প্রয়োজনীয় ঔষবপত্রের সংকট নিরসন করতে হবে। কৃত্য—পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, এবং আত্ম ক্যাডার বৈষম্য রোধ করতে হবে। কারন আপনারা কোন পেশাদার কাজে মনোনিবেশ করতে পারে না। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীর স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন প্রনয়নের করতে হবে কারন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান স্পর্শকাতর বিধায় রোগীর মৃত্যুতে সংক্ষুব্ধ জনগণ আক্রমন করে ভাংচুর ও ক্ষতি সাধন করে। সুতরাং চিকিৎসা কেন্দ্র সমূহ রক্ষা করার জন্য কঠোর আইন প্রনয়ণ, প্রহরী নিয়োগ করতে হবে। চিকিৎসা দিতে গিয়ে কোন মৃত্যু ঘটলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীর অপরাধ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত তারা রাষ্ট্রের কাছে দায়মুক্তি ভোগ করার যে আইন আছে (বাংলাদেশ দন্ড বিধি ধারা ৮২৯)। তা যথাযথভাবে বাস্তবায় করতে হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজনের তাগিদে চিকিৎসকদের উচ্চ শিক্ষা সহজ ও সুগম করতে হবে। বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসাক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষার অর্জনে আমলাদের সৃষ্ট ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। পোষ্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেনী চিকিৎসকদের সর্বক্ষনিক হাসপাতালে থাকতে হয় তাই তাদের আবাসন ব্যবস্থা এবং অতিরিক্ত সময়ের জর্য সম্মানিভাতা প্রদান করতে হবে। ইর্ন্টান চিকিৎসকরা হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে তাই তাদের আবাসন স্থানের প্রয়োজনীয় সম্প্রসারন ও অর্থনৈতিক সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। রাষ্ট্রের ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের আর্থিক সুবিধার সমপরিমান বা মাসিক থোক বরাদ্দ ৪০ হাজার টাকা করতে হবে। এসকল বিষয়ে অনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজকের এ সংবাদ সম্মেলনে আমরা কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে বলতে চাই। আমাদের চিকিৎসকদের এ সমস্ত দাবি না মেনে নিলে আমরা কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে খুলনা বিএমএ শাখার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মেহেদী নেওয়াজসহ সকল চিকিৎসকরা উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।