
আগামী তিন বছরের ভিতর সাভারের অবহেলিত ভাকুর্তা ইউনিয়নে কোনো কাঁচা রাস্তা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মো. লিয়াকত হোসেন। গতকাল বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ভাকুর্তা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে চলমান রাস্তার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে গণমাধ্যমের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, আমাদের পরিষদের সদস্যগণ এবং এলাকাবাসী অনেক ছোট ছোট কাঁচা রাস্তা পাকা করার দাবী নিয়ে আমার কাছে আসেন। আর এসব রাস্তার জন্য ক্ষেত্র বিশেষে ২ থেকে ৫ বা ৭ লাখ টাকার প্রয়োজন হয়। তবে এইসব কাজের ‘ফান্ড’ কিন্তু আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকেই ‘ক্রিয়েট’ করতে হয়। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হলেও একথা সত্য যে, আমি যখন এক বছর আগে এই পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন দেখলাম এক বছরে এই পরিষদের সর্বমোট ‘ইনকাম’ মাত্র দুই লক্ষ টাকা! আর একটা ইউনিয়ন পরিষদের যদি ‘ইন্টারন্যাল সোর্স’ থেকে ‘ইনকাম’ না থাকে তাহলে এসব ছোট ছোট উন্নয়নের কাজ করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আবার এই ২ কিংবা ৫ লাখ টাকার জন্য ‘রোডস এন্ড হাইওয়ে’ কিংবা অন্য কোথাও বরাদ্দ আনতে যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে আমার অভিভাবক সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব এর কাছে এসব কাজের জন্য বললে তিনি উপজেলা থেকে তাঁর সাধ্যমতো বরাদ্দ দিয়েছেন। আশাকরছি ভবিষ্যতেও এই বরাদ্দ চলমান থাকবে। আর যদি এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকে তবে ৫ বছর না আগামী ৩ বছরের মধ্যে ভাকুর্তায় আর কোনো কাঁচা রাস্তা থাকবে না। ভাকুর্তার চেয়ারম্যান আরও বলেন, গত বছর ১লা ফেব্রুয়ারিতে এই পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছি। এর মধ্যে এই এক বছরে ভাকুর্তায় অনেক নতুন রাস্তাঘাট নির্মিত হয়েছে। তবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে ভাকুর্তার প্রবেশপথে যে ‘ভাঙ্গা’ ব্রিজটি রয়েছে, সেটার পুনর্র্নিমাণ এর অভাবে রাজধানীর সাথে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছিলো। ব্রিজটি যদিও সড়ক ও জনপথের অন্তর্ভুক্ত, তারপরও আমরা সঠিকভাবে যোগাযোগ করলে হয়তো আরও অনেক আগেই এর পুনর্র্নিমাণ সম্ভব হতো। আর এই কাজটি হলে, ভাকুর্তায় উৎপন্ন কৃষিপণ্য রাজধানীতে অনেক ঘুর পথে না গিয়ে আমিনবাজার দিয়ে অতি সহজেই পাঠানো সম্ভব হতো। আর এর দ্বারা লাভবান হতেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। এপ্রসঙ্গে হাজী মো. লিয়াকত হোসেন জানান, ইতোমধ্যে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ব্রিজটি সহ আরও কয়েকটি ছোট ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আশাকরা যায়, খুব দ্রুত এবং নির্ধারিত সময়ে এর কাজ শেষ হবে। এই ব্রিজ ছাড়াও ভাকুর্তায় আরও ২০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ভাকুর্তা ইউনিয়নে করার মতো তেমন বড় কোনো কাজ আর অবশিষ্ট থাকবে না। এজন্য আমি আমাদের এই এলাকার রাজনৈতিক অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপিকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার আরেক রাজনৈতিক অভিভাবক সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবকে। রাস্তার কাজ পরিদর্শন কালে এসময় ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।