
স্বরূপকাঠিতে এক প্রধান শিক্ষকসহ অপর দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর অভিভাবকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ঝাড়ু পেটা দিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে স্বরূপকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে। বুধবার এ ঘটনার বিচার দাবি করে ইউএনও ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে ভুক্তভোগী অভিভাবক মিতু বেপারী। এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সহকারী শিক্ষা অফিসার আরিফ হোসেন চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ঘটনার বিবরণে জানাগেছে, মংগলবার মিতু বেপারির মেয়ে ঐশ্বর্য দাসকে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হাসিনা বেগম খেলার মাঠ থেকে ডেকে নিয়ে কোভিড ১৯ টিকা দেয়। মেয়েকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার সময় মেয়ে অসুস্থবোধ করায় ঘটনাটি তার স্বামীকে অবহিত করে। পরে মিতু ও তার স্বামী বিদ্যালয়ে এসে প্রথম ডোজ টিকা না দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হাসিনা বেগম তার সাথে দুব্যবহার করেন। এসময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সামসুল হক তুই তোকারি ও অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে বিদ্যালয় থেকে তাদের বের হয়ে যেতে বলে এবং সহকারী শিক্ষক সুজন সমদ্দার তাদের ঝাড়ু পেটা দিয়ে বের করে দেয়ার কথা বলে। অভিযোগ অস্বীকার করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সামসুল হক বলেন তাদের সাথে তেমন কিছু হয়নি। একটু ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে। বরং উল্টো ওই দম্পতি আমাদের উপর উত্তেজিত হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সতত্যা স্বীকার করে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।