সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে। উপজেলার যে ৫ ইউনিয়নগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হলো- ফেঞ্চুগঞ্জ সদর, মাইজগাঁও, ঘিলাছড়া, উত্তর কুশিয়ারা ও উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী- রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়ন বাছাই ২০ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ২৬ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৬ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। স্থানীয় সরকারি (ইউনিয়ন পরিষদ) বিধিমালা অনুযায়ী সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার/জেলা নির্বাচন অফিসার রিটানিং কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন। ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে ৫টি ইউনিয়নে ৯টি করে ৪৫টি কেন্দ্রে ১৯০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১ নম্বর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নে আল ইসলাহর প্রার্থী মো. বদরুদোদজা, ২ নম্বর মাইজগাঁও ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুফিয়ানুল করিম চৌধুরী, ৩ নম্বর ঘিলাছড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল লেইছ চৌধুরী, ৪ নম্বর উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমদ জিলু ও ৫ নম্বর উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান উদ্দিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে গত বছর ২ নম্বর মাইজগাঁও ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুফিয়ানুল করিম চৌধুরীর মৃত্যুতে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য থাকে। সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ বলেন, ‘আগের প্রকাশিত খসড়া অনুযায়ী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৯৪ হাজার ২৩৮ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮ হাজার ৩১৭ ও নারী ৪৫ হাজার ৯২১ জন। এছাড়া এ বছরের ১৫ জানুয়ারি তারিখে প্রকাশিত ভোটার বেড়েছে আরও ৫ হাজার ৪৬৮ জন। এর মধ্যে ২ হাজার ৬৬৯ পুরুষ ও ২ হাজার ৭৯৯ জন নারী রয়েছেন।’