তরমুজ গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার তরমুজ চাষীরা। এখন কেউ ঘরে বসে নেই। পুরুষের পাশাপাশি পরিবারের নারী সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করছে তারা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, এ বছর তরমুজ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫৫০ হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৮২৭ হেক্টরেরও বেশি। এ উপজেলায় বেলে-দোআঁশ মাটিতে ড্রাগন ও ড্রাগনসুপার তরমুজ ভালো হয়। যা তরমুজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। উপজেলার ২১ টি ইউনিয়নই কমবেশি তরমুজ চাষাবাদ হয় তারমধ্যে মুজিব নগর, নজরুল নগর, ও নিলকমল ইউনিয়নে তরমুজের ফলন ভালো হয়। চাষীরা ইতোমধ্যে জমি চাষাবাদ করে বীজ রোপনের পর চারা বড় হয়ে গেছে এখন কৃষকরা তরমুজ চারার পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সরেজমিনে উপজেলার শশীভূষণ, নজরুল নগর ইউনিয়ন ঘুরে দেখাযায়, কৃষকরা মাঠে কাজ করছে। মাঠের পর মাঠ চাষাবাদ করে তরমুজ গাছে পরিচর্জা করছেন কৃষকরা । এ কাজ করতে পুরুষের পাশাপাশি পরিবারের নারী ও শিশুরাও মাঠে কাজ করছে। উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের তরমুজ চাষী সিরাজুল ইসলাম ও কাশেম জানান, গত তিন বছরের লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে এ বছরও তিন একর জমিতে তরমুজের চাষ করেছি। বীজের দাম কম থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজ চাষে খরচও কম হবে। তবে তরমুজের ফলন ভাল হবে আশাবাদী তারা। চরফ্যাশন উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ ওমর ফারুক বলেন, উপজেলায় তরমুজের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকরা তরমুজ চাষের প্রতি ঝুকে পড়েছে । এবছর তরমুজ চাষাবাদে লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫শ ৫০ হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৭শ ২৭ হেক্টরেরও বেশি। তবে তরমুজ গাছে পোকামাকড় ও কোনো ধরনের সমস্যা হলে তরমুজ চাষীরা অব্যহিত করলে সঠিক ও সুন্দর পরামর্শ দেয়া হবে।