‘সুলতান স্বর্ণ পদক’ প্রদানের মধ্য দিয়ে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৮তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নড়াইলে ১৪ দিনব্যাপী সুলতান মেলা শেষ হলো। শুক্রবার এ মেলা শেষ হয়েছে। এবার সুলতান স্বর্ণপদক-২০২২ পেয়েছেন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর তালুকদার। মেলার সমাপনী দিনে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পী সুলতান মঞ্চে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার হাতে এ পদক তুলে দেন। এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পরিচালক মাহবুবা করীম, সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দোলন মিয়া,নাট্য ব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার,বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু প্রমুখ। সমাপনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু।

গত ৭ জানুয়ারি সুলতান মঞ্চ চত্বরে বেলুন উড়িয়ে ১৪ দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ। জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও সহযোগিতায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য যে, প্রতি বছর শিল্পী সুলতানের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নড়াইল জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশন আয়োজিত সুলতান মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলার সমাপনী দিনে দেশ সেরা একজন গুণী ব্যক্তিকে ‘সুলতান স্বর্ণ পদক’ দেওয়া হয়।
এবারের মেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল ৭টি দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শণী, শিশু-কিশোরের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, লাঠিখেলা, কাবাডি, কুস্তি, ভলিবল, আর্চারি, ষাঁড়ের লড়াই, ঘোড়ার গাড়ি দৌড় প্রতিযোগিতা, আর্চারি, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া শিল্পীর জীবন দর্শন, শিল্পীসত্তা ও কর্মময় জীবনের ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া মেলাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে লোক ঐতিহ্য দোলনা, খেলনা ট্রেন-নৌকা, কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, কাপড়, চুড়ি-ফিতা, বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলিসহ দেশীয় খাবারসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে প্রায় শতাধিক স্টল মেলা প্রাঙ্গণে বসে। এবার স্থানীয় ৫০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও নাটকের পাশাপাশি কুষ্টিয়ার লালন একাডেমীসহ ঢাকা ও খুলনার শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। প্রতিদিন হাজার হাজার শিশু, নারী-পুরুষ মেলা উপভোগ করেন।