
১২ বছর বন্ধ আছে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে ভোগান্তির শিকার বলে অভিযোগ সেবা প্রত্যাশীদের। জনগণ সেবা ঠিকমতোই পাচ্ছে দাবি বর্তমান চেয়ারম্যানের। ২০১১ সালের ৯ জুন আমদহ ইউনিয়ন পরিষদে শেষ বারের মতো নির্বাচন সম্পন্ন হয়। ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই এ পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়। ওই সময় দেশের অন্য পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হলেও সীমানা জটিলতা দেখিয়ে মেহেরপুর পৌরসভা ও আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন। পরে মামলা জটিলতা কাটিয়ে ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল মেহেরপুর পৌরসভা ও ২৩ এপ্রিল আমদহ ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ওই বছরের ২৫ এপ্রিল মেহেরপুর পৌরসভার নির্বাচন হলেও অদৃশ্য ইশারায় আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ইউনিয়ন বাসিরা জানান, দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ায় বিভিন্ন সময় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে সেবা নিতে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও ভিজিএফ কার্ড করতে গিয়ে বাড়তি টাকা দিতে হয়। রয়েছে জন্ম নিবন্ধনে মাত্রাতিরিক্ত টাকা ও হয়রানির অভিযোগ। মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী মনির হোসেন জানান, অনেক আগেই তার ভোট দেওয়ার বয়স পূর্ণ হয়েছে। তবে দীর্ঘ ১২ বছর নির্বাচন না হওয়াতে তার মতো অনেকে এখন পর্যন্ত ভোট দিতে পারেনি। মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল বলেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী ক্ষমতা মানুষকে অপরাধপ্রবণ করে তোলে। একটা মানুষ যখন ১২ বছর ধরে ক্ষমতা ধরে রাখে তখন সেই জায়গাকে মনে করে নিজের ব্যাক্তিগত সম্পদ। পৌরসভার সাথে সীমানা নিয়ে মামলা, অথচ সেই পৌরসভায় দুইবার নির্বাচন হলেও অজ্ঞাত কারনে বন্ধ আমদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম বলেন, মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, নির্বাচন কমিশন দ্রুত তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন সম্পন্ন করবে বলে আশা করছি। তবে দীর্ঘদিন ভোট না হলেও জনগণ সেবা ঠিকমতোই পাচ্ছে। মেহেরপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ ওলিউল্লাহ বলেন, মামলা জটিলতা শেষ হয়েছে আশা করছি দ্রুত সময়ে তাফসিল ঘোষণা ও নির্বাচন করা সম্ভব হবে।’