১১হাজার স্কাউটের কলকাকলীতে মুখরিত হয়ে উঠেছে গাজীপুরের মৌচাক জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাঠ।
মৌচাকে শুরু হয়েছে ৯ দিন ব্যাপী ৩২ তম এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্কাউট ও একাদশ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি-২০২৩।
“সাবাস—শক্তির ফোয়ারা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত জাম্বুরীতে প্রায় সাড়ে ৯’শত স্কাউট দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ওই এপিআর ও একাদশ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি ২০২৩।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে পাখির কলকাকলির আওয়াজের মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করে স্কাউট দলগুলো।
সারা রাত বা দিন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অনেকের মুখে ক্লান্তির চিহ্ন থাকলেও ক্যাম্পের পরিবেশ ও এখানকার প্রাকৃতির বৈচিত্র্যময় পরিবেশ ও অপরুপ সৌন্দর্য্য এবং হাজার হাজার স্কাউটের সমাবেশ তাদের ক্লান্তি ও বিষণ্নতা দূর করে দিচ্ছে।
হাতে ও কাঁধে ব্যাগ, বাঁশ, লাঠিসোঁটাসহ তাঁবুবাসের ইত্যাদি সরঞ্জামাদি নিয়ে ছুটছে তাঁবুর দিকে।
বাংলাদেশসহ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল ভুক্ত দেশ থেকে ৮ হাজার স্কাউট সদস্য, ১ হাজার ইউনিট লিডার ও আইএসটি সদস্যসহ প্রায় ১১ হাজার জন স্কাউট ব্যক্তিত্ব এই ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করছে।
৯ দিন ব্যাপী এই জাম্বুরি ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে চলবে আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর ২১ জানুয়ারি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (এমপি) এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন৷
পুরো স্কাউট জাম্বুরিকে মোট ৪ টি ভিলেজে ভাগ করা হয়েছে এবং প্রতিটি ভিলেজে দুটি করে মোট ৮ টি সাব ক্যাম্পে বিভক্ত করা হয়েছে।
নয়দিন ব্যাপী এ ক্যাম্পে স্কাউটদের জন্য থাকছে তাঁবুকলা, হাইকিংনাইট হাইকিং ও ইয়ুথ ভয়েজ, নেইবারহুড,ক্যাম্প ফায়ার, খেলাধূলা ও মেধা যাচাইসহ মোট ২০ টি চ্যালেঞ্জ।
এসব চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করে স্কাউটরা তাদের মেধা, শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, আধ্যাত্মিক বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবে।
এই জাম্বুরিতে অংশগ্রহণকারী দেশী ও বিদেশি স্কাউটরা বাংলাদেশও জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মৌচাকের প্রায় ১৮১ একরের এই অপার সৌন্দর্য্যে ভরা প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে তাদের দেখে মন জুড়িয়ে যাবে।
এখানকার বনাঞ্চল, নানা প্রজাতির উদ্ভিদ, পাখপাখালির কিচিরমিচির শব্দ, সুন্দর পাড়সহ পাশলা পুকুর এবং আরো অন্যান্য প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে।
এছাড়াও গাজীপুরে রয়েছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, টাকশাল,ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, ৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, হাইটেক পার্ক,ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি এসবের বিষয়ে জেনে ও বাস্তব জীবনে অবলোকন করে অংশগ্রহণকারী স্কাউটেরা তাদের পঞ্চইন্দ্রিয়কে আরো সমৃদ্ধ করতে পারবে।
আর এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে স্কাউটরা বাংলাদেশকে জানতে পারবে এবং ভ্রমন পিয়াশা জন্মাবে।