সরকার সারাদেশে প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, কর্মসূচি পালনে বাধা দিতে চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে ক্ষমতাসীন দল। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর সরফত আলী সপু, তাইফুল ইসলাম টিপু, সুলতানা আহমেদ, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, শেখ শামীম, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, স্বাধীনভাবে রাজনীতি এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবার অধিকার সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। সরকারের মন্ত্রী-নেতারা হর-হামেশাই বলেন, দেশে সকলের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। বিদেশিদের সামনে তারা বলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে সরকার নাকি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে। সরকারের এই বয়ান পুরোপুরি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত সত্য এই যে, সরকার কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবার চেষ্টা চালাচ্ছে। গণ আন্দোলনে ভীত সরকার দমন নিপীড়ন চালিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে উস্কানি-প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তান্ডব সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, সোমবার দেশব্যাপী মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে ১০ দফা বাস্তবায়ন ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার দমন নিপীড়ন চালিয়েছে। নানা রকমের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং হামলা চালানো হয়। একই দিন চট্টগ্রামে মিছিল পূর্ব সমাবেশ চলাকালে বিনা উস্কানিতে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালায়। বেধড়ক লাঠি চার্জ, গুলি, সাউন্ড বোমার হামলায় সমাবেশ পন্ড করে দেয়। পুলিশের এই সাঁড়াশি অভিযানে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন, গ্রেফতার করা হয় ২০ জনকে। রাতে পুলিশ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলম, সদরঘাট থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নুর খানকে গ্রেফতার করে এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে তল্লাশি চালায়।