অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে পি.কে. হালদারসহ মোট ছয় অভিযুক্তকে ২২ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার আদালত। বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ শেষে শুক্রবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হলে স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহা এই নির্দেশ দেন। সেক্ষেত্রে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ফের অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে।
৩৬ দিনের জেল হেফাজত শেষে এদিন স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্তদের আদালতে আনা হয়। পৌনে ১২টার দিকে তাদের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে তোলা হয়। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে বিচারক আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন।
ওই দিনই পিকে হালদারের ভাই এবং অন্যতম অভিযুক্ত প্রাণেশ কুমার হালদারের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারের যথোপযুক্ত চিকিৎসার জন্য কারাগার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত। ইতিমধ্যেই কারাগার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কলকাতার সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে চিকিৎসার ব্যব্স্থা করা হয়েছে।
ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, অভিযুক্ত প্রত্যেককেই আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এই মামলার তদন্ত গতিপ্রকৃতি কোন পর্যায়ে সে ব্যাপারে বলতে গিয়ে চক্রবর্তী আরও বলেন, অভিযোগ জমা পড়েছে। নতুন করে তদন্তও চলছে। নতুন করে এই মামলায় বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিও এসেছে। তাই আমরা আশা করছি পরবর্তীতে আরও অভিযোগ পত্র জমা পড়বে এবং তারপরে শুনানি শুরু হবে।
উল্লেখ্য, কলকাতার অনতিদূরে অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে গত বছরের ১৪ মে পি.কে. হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইডি। একই সাথে গ্রেফতার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ বাকি অভিযুক্তদের।
গত ১১ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। ‘অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২’ (PMLA) এবং দুর্নীতি দমন আইন-১৯৮৮ মামলায় ওই ছয় অভিযুক্তের নামে চার্জ গঠন করা হয়।
বর্তমানে অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ ৫ জন রয়েছেন প্রেসিডেন্সি কারাগারে, অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।