আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে জনগণ প্রস্তুত আছে। বলামাত্রই যে কোনো অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার মতো ক্ষমতা আওয়ামী লীগের আছে।
আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র লিটন এ কথা বলেন। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাউছার রহমান মিলনায়তনে এই প্রতিনিধি সভার আয়োজন করে।
সভায় খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি নামক একটি দল, একটি বিষফোঁড়া বাংলাদেশের রাজনীতি, দেশের পরিবেশ অশান্ত করে তুলছে। তারা একেকবার একেক কথা বলছে। কখনও বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, কখনও বলছে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। কখনও ২৭ দফা দাবি, কখনও ১০ দফা দাবি করছে।
রাসিক মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে তারা সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করেছে। তারা একেকটি সমাবেশে একেক ঘোষণা দিয়েছে। রাজশাহীতে বলেছে, ডিসেম্বরের ৩ তারিখের রাজশাহীর ওই সমাবেশ সেমিফাইনাল এবং ১০ তারিখে ঢাকায় হবে ফাইনাল খেলা। এটি আমরা জানি। কিন্তু রাজশাহীতে যারা বসবাস করি তারা দেখেছি, বিএনপি বলেছিল লাখ লাখ মানুষ হবে তাদের এই কথিত দুর্গে। একসময় তারা যেটিকে দুর্গ বলতে খুব ভালবাসতো, সেই দুর্গে তাদের মিটিংয়ে আমরা দেখলাম লোকসংখ্যা খুব বেশি হলে ১০ থেকে ১৫ হাজারের বেশি হয়নি।
মেয়র বলেন, বিএনপি সব সময় হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যখনই সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করেছে। দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করেছে, দুর্নীতি করেছে, লুটপাট করেছে, এমন কোনো হীন কাজ ছিল না যা তারা করেনি। এখন তারা বলছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এই কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও ঘোষণা দিয়েছে, তারা যদি রাজপথে আসে, আসতে পারে, কিন্তু সেখানে যদি কোনো অরাজনৈতিক অপতৎপরতা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে চায়, নেত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলেছিলেন, যে হাত দিয়ে মানুষের যান অথবা গাড়ি বা অন্যকিছুতে আগুন লাগাবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যে হাত দিয়ে মানুষকে আঘাত করবে, সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। অর্থাৎ নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। এই জন্য রাজশাহী বিভাগের এই জনসভাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, বেগম আখতার জাহান ও মেরিনা জাহান। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল প্রমুখ।