ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝিবাড়ী বাসষ্টান্ডের পিছন হতে কামারখালী টোল-অফিসের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দু’পাশ জুড়ে কাঠ ব্যবসায়ী ও স-মিলের (করাতকল) মালিকেরা সম্পূর্ন দখল করে রেখেছে।
সড়ক বিভাগের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর সড়কের পাশের জায়গা দখল করে দিদারছে ব্যবসা করে যাচ্ছে তারা। সড়কের সাথে গাছের লক রাখার দরুন সড়ক দিয়ে চলাচলরত বাস, ট্রাকসহ মাঝারী, ছোট বড় যান চলাচলের সময় ওভারট্রেকিং করার কারণে অনেক সময় এ যানবহনগুলো চাপ খেয়ে ফুটপথে নেমে যাওয়ার দরুন দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পথচারীরা বলেন, ফুতপাত দখল করে দীর্ঘদিন করাত মিলের মালিকারে ব্যবসা করে চলেছে। এমনভাবে ফুটপাত দখল করে রেখেছে যে ফুটপাত উধাও। মহাসড়কের পাশের পাশের জায়গায় বিপজ্জনকভাবে বড় বড় গাছের লক ও কাঠ রেখে ব্যবসা করছে একশ্রেনীর ব্যবসায়ীসহ স-মিল মালিকেরা। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তাই সড়ক বিভাগের নির্দেশ অনুসারে দ্রুতই এই ঝুঁকিপূর্ণ গাছের কাঠ বা লক অপসারণ করা দাবি জানাচ্ছি।
মাহেন্দ্র ও অটো রিকসা চালকরা জানান, ইচ্ছাস্বাধীন এলোমেলো অবস্থায় এ রকম গুরুত্বপুর্ন সড়কের পাশে এখানে-সেখানে বিপজ্জনকভাবে বড় বড় গাছের লক ও গাছ রাখা হয়েছে। এতে এ সড়কে চলাচলকারী মানুষ ও যানবাহন বিশাল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা নিরাপদ চলাচলের জন্য এ গাছ গুলো লক সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা বলেন ঢাকা- খুলনা মহাসড়কের পাশে সড়ক বিভাগের জায়গা তথা ফুটপথ দখল করে গাছের বা কাঠের ব্যবসা করে আসছে যে সকল ব্যবসায়ীরা আমরা একাধিকবার প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিকদের মৌখিকভাবে গাছের লক সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলাম। তা কেউ পালন করেনি। তাই যারা মহাসড়ক পাশে যারা অবৈধ দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে, পাশাপাশি সড়কের পাশে ফুটপাতের উপর যে সকল স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে সেই সকল প্রতিষ্ঠানের মালিকগনকে মহাসড়কের পাশে রাখা গাছের লকগুলো সড়িয়ে নেওয়ার জন্য এবং সড়কের পাশে সরকারী জায়গা খালির জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ফরিদপুর সড়ক বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নিকট সচেতন নাগরিকের দাবী জোরালো দাবী করেন।