বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ই-গেট কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে আমাদের পাসপোর্টের মান আরও বাড়ছে। তখন বহু দেশে যাওয়ার জন্য ভিসার দরকার হবে না। অনেক দেশ সাগ্রহে আমাদের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করতে চাচ্ছে। এটা ইতিবাচক।
রোববার (৮ জানুয়ারি) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় পাসপোর্ট ও বিমানবন্দরের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পাসপোর্টের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সম্প্রতি আমাদের পাসপোর্টের সেবা অনেক উন্নত হয়েছে, আগের মতো বছর খানেক বসে থাকতে হয় না। যেগুলো অবাঞ্ছিত সেগুলোতে সময় লাগে। অধিকাংশ পাসপোর্ট পেয়ে যান। শেখ হাসিনা থাকলে আমরা অনেক উন্নত অবস্থানে পৌঁছাবো। ই-পাসপোর্টধারীদের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে মাত্র ১৮ সেকেন্ড ব্যয় হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।’ তিনি বলেন, ‘বিদেশি পর্যবেক্ষক আমরা অ্যালাউ করবো। আমাদের গোপন করার কিছুই নেই।’
তবে বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের মাতব্বরি দরকার নেই মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ইলেকশন অংশগ্রহণমূলক হয়, স্বতস্ফূর্ত হয়। ওইসব দেশে ইলেকশনের এক মাস আগে ক্যাম্পেইন শুরু হয়, আমাদের এক বছর আগেই শুরু হয়ে যায়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের জন্ম হয়েছে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। এই দেশের প্রত্যেক মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই প্রিন্সিপলগুলো আছে, তাই আমাদের অন্যরা মাতব্বরি করে পরামর্শ দেওয়ার দরকার নাই। উনারা নিজেদের আয়নায় দেখুক। তবে আমরা অঙ্গীকার করেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন যে, আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক হবে এবং সবাইকে নিয়ে আমরা তা করতে চাই। যারা নির্বাচনে আসবেন; আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি; আমার দল বিশ্বাস করে; ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব।’