স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা তিমির নন্দী আজ ৩ জানুয়ারি কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি’র কাঙাল হরিনাথ মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহন করেন।
মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে আমি গর্বিত। জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া এটি। আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাতা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাধীনতার গান, মুক্তির গান গেয়েছি। নোঙর তোলো তোলো গান দিয়ে শুরু আর বিজয় নিশান গানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের যাত্রার পরিসমাপ্তি হয়। মায়ের কথায় আমি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দিয়েছিলাম।
শিল্পী তিমির নন্দী বলেন, পচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের উত্থান হয়। জাতি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ ও বিপক্ষে বিভাজিত হয়। আমি রাশিয়া থেকে ১৯৮৩ সালে দেশে ফিরি। সে সময় এদেশে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিষিদ্ধ ছিলো। আমি সে সময় চারুকলায় বঙ্গবন্ধুকে নিয় গান গেয়েছিলাম। অনেকে আমাকে হুমকি দিয়েছিলো। আমি বলেছিলাম, বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে কোন আপোস নেই।
সর্বশেষ তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়ায় রাজু ভাই নেই, মান্না ভাই নেই, জব্বার ভাই নেই, কল্যান দা নেই। এখন শুধু আমি আছি। বর্তমান সরকারের কাছে আমার একটিই দাবী, কুষ্টিয়ায় বেতার কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে এই জেলার শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করুন।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি’র সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ, কুষ্টিয়া জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি খোকন সিরাজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি’র সহ সভাপতি অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সালমান শাহরিয়ার রাজু, দপ্তর সম্পাদক এস এম ওয়ালিদুজ্জামান শুভ, নির্বাহী সদস্য হাফিজুর রহমান জীবন, সোহাগ আহমেদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ কায়সার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চাঁদ আলী সহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।